শুধু দরিদ্র নয় হত দরিদ্রদের খুঁজে বের করুন: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, আপনারা নিজ এলাকায় কার্ড বেশী করতে চাইছেন কাদের জন্য। প্রতিটি এলাকায় হতদরিদ্রদের তালিকা অনুযায়ী কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এ দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন উদ্বৃত্ত চাল বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। এ দেশে হতদরিদ্রদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।

 

এলাকায় যত কম দরিদ্র থাকবে সেটা গৌরবের বিষয়, যত বেশী তা হবে লজ্জার বিষয়। দয়া করে এই কর্মসূচিকে বিতর্কিত করবেন না। শুধু দরিদ্র নয় হত দরিদ্রদের খুঁজে বের করুন।

 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খাদ্য বিভাগের আয়োজনে ও রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহয়োগীতায় অনুষ্ঠিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ টাকা কেজি চাল বিতরন কর্মসূচির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করেছেন। এখন তা আমাদেরেই সবাই কে সফল করতে হবে। কিন্তু এ কর্মসূচির শুরুতেই অনিয়মের কারনে আমরা হোচট খেয়েছি। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। কে কোন দল করেন তা দেখার বিষয় নয়। অপরাধী যে দলেরই হোকনা কেন সে অপরধীই।

 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ কর্মসূচি নিয়ে যত অনিয়ম পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন তার সত্যতা আমরা পেয়েছি। তাদের ইতোমধ্যে ৭ জন ডিলারে ডিলারশীপ বাতিল, ১ জনের ১৫ দিনের জেল, ১ জনের ৩ মাসের কার্যক্রম স্থগিতসহ দোষীদের  শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন আগামীতেও আপনারা এদের তুলে ধরবেন এবং এদের জন্য যে রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেগুলোও তুলে ধরবেন।

 

রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আসরাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নান, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অব্দুল ওয়াদুদ দারা, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আতাউর রহমান। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার চেয়্যারম্যান, ইউএনও প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বর্তমান সরকারে ক্ষুদা মুক্ত বাংলাদেশ গড়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ তা আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে নিতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে হত দরিদ্র আছে শহর অঞ্চলে যে নেই তা নয় । রাজশাহী শহরে বেশ কিছু বস্তি আছে যেখানে অনেক হতদরিদ্র রয়েছে। তাদের জন্যও প্রধান মন্ত্রীর ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা করতে হবে।

 

এ সময় চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে ১০ টাকা কেজি চাল প্রদানের কার্ড বৃদ্ধি ও কার্ড বিতরণ, কমিটির সদস্য থেকে সভাপতিসহ করার বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

 

এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আতাউর রহমান বলেন, প্রধান মন্ত্রীর ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ হতদরিদ্রের মাঝে বিতরন করার হবে। বর্তমান পরিসংখ্যানে ৪৭ লাখ ২৩ হাজার প্রায় মানুষকে এই চাল বিতরণ করা হবে। সে অনুযায়ী ৫০ লাখ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এলাকার চাপ কমানোর জন্য চেয়ারম্যানদের কার্ড বিতরন, কমিটির সভাপতি করা হয়নি। কিন্তু হত দরিদ্র বাছাই করার জন্য চেয়ারম্যানদের সদস্য করা হয়েছে।

স/অ