শীত জেঁকে বসেছে রাজশাহীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কথায় আছে, ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে।’ এমনই শীত যেন পড়ছে রাজশাহীতে। বলা যায়, রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শীত আর ঠান্ডা বাতাসে অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। আজ রবিবার রাজশাহীতে সর্বন্মি তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে গতকালের চেয়ে দশমিক তিন ভাগ তাপমাত্রা কমেছে আজ। গতকাল শনিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশকি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিন সকালে ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হেলেন খান সিল্কসিটিনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাঝারি শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহীতে। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।’

এদিকে তীব্র শীতের কারণে জুবুথুবু যেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। খেটে মানুষগুলো পড়েছেন আরও বেকায়দায়। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই নেমে পড়তে হচ্ছে কাজে। ফলে কন কনে হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে তাদের।

ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এবার শুরু থেকেই শীত মৌসুমটা অনেকটা স্বাভাবিক আবহাওয়া থাকলেও একেবারে শেষের দিকে এসে জেঁকে বসেছে শীত। ফলে অনেক গরিব মানুষের আগাম প্রস্তুতিও তেমন ছিল না। এতে করে তারা পড়েছেন বেকায়দায়।

রাজশাহী নগরীর শিরোইল বস্তি এলাকার মনিরা খাতুন বলেন, ‘ঠান্ডা তো চলেই যাচ্ছিল। শ্যাষের দিকে অ্যাশি বুঝাই দিচ্ছে। এবার শুরু থেকে তিন-চার দিন আগেও তেমন ঠান্ডা ছিল না। তাই কারও কাছে কাপড়ও নিতে যায়নি। এখন যে ঠান্ডা পড়িছে মুটা কাপড় ছাড়া আর চলতে পারছি না। কিন্তু সকালে তো মানুষের বাড়িতে কাজ করতে যাতেই হচ্ছে। তখন খুব কষ্টে পড়ছি।’

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক দবির উদ্দিন বলেন, ‘শীতে খুব কষ্ট পাচ্ছি। তাও গাড়ি তো চালাতে হবে। পেট তো মানে না শীত না গরম। ঠান্ডার কারণে এখন ভোরে বের হচ্ছি না। কিন্তু সকালে বের হলেও ঠান্ডায় গাড়ি চালাতে গিয়ে হাত-পা শিটকে হয়ে যাচ্ছে।