শীতের আগাম সবজির বীজ তলা ও চারা তৈরিতে ব্যস্ত নার্সারিগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শীতের আগাম সবজি চাষকে সামনে রেখে বীজতলা ও চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর নার্সারি মালিকরা। তারা বছলেন, এবছর বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে ফেলা হয়েছে বীজতলা। বীজ থেকে চারা গজিয়ে জমিতে রোপণের পর উপযোগী হতে সময় লাগে ৫৫ থেকে ৬৫ দিন। এই সময়ের আগেই পরিচর্যার মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠে চারাগুলো।

তবে বৃষ্টি অনেকটাই দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে চারা তৈরির কাজে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, নগরীর নওদাপাড়া এলাকার সবুজ বাংলা নার্সারির কর্মী কাউসার আলী। গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে নওদাপাড়ার নার্সারিগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, নার্সারির মালিক কর্মীদের নিয়ে সবজির চারার যতœ নিচ্ছেন। নার্সারিগুলোতে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের বেগুন, পাতা ও ফুল কপির চারা। কেউ কেউ বীজতলা তৈরি করেছেন মাচাতেও।

জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের সবজির জন্য বেশ সুনাম রয়েছে। এই অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানি করা হয়। তাই চাষিরা সবজি চাষে বেশ মনোযোগী।

বর্তমান সময়ে নওদাপাড়া এলাকার নার্সারিগুলোতে শীতের সবজির চারা তৈরি করা হচ্ছে। একই এলাকার বাংলা নার্সারির কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সবজির বীজ ও চারা নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে দেখা দেয় চারার গোড়ায় পচন রোগ। অনেক সময় চারা মরেও যায়। সর্তকতা হিসেবে বেশি পরিচর্যা নিতে হচ্ছে। বৃষ্টির সময় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হচ্ছে বীজতলা। আবার বৃষ্টি শেষে তুলে নিতে হচ্ছে পলিথিন। এছাড়া বেশি রোদ পড়লে ঢেকে দিতে হচ্ছে সবজির বীজ তলা ও চারা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এই সময় মূলত চাষীরা ভাল দামের আশায় শীতের আগাম সবজি চাষ করে। বর্ষার কারণে বেশি যতœ নিতে হয়। বৃষ্টির অতিরিক্ত পানিতে চারার গোড়ায় পচন রোগ দেখা দেয়। এতে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে বলা হচ্ছে চাষিদের।

 

স/আ