শিশু নির্যাতনের অভিযোগে রাজশাহীর ইসলামীক বক্তা আব্দুর রহমান কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পবার আল জামিয়া আল সালাফিয়া মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইসলামীক বক্তা আব্দুর রহমানের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন। আব্দুর রহমান আলোচিত ইসলামীক বক্তা  আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের মেজো ছেলে। তার নাতির বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ করেছিলেন ওই মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী ছাত্র রামিম ইসলাম রিফাত। এ কারণে তাকেই পিটিয়ে আহত করেছিলেন রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রহমান। গত ১৬ মার্চ এ ঘটনা ঘটান তিনি। এর পর আহত ওই ছাত্রকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটির পরিবারের সদস্যরা তখন জানিয়েছিলেন, ১২ বছর বয়সী রামিম ইসলাম রিফাতকে কোরআনের হাফেজ করার স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী পবার ডাংঙ্গীপাড়া এলাকার আল- জামি’আহ ,আস সালাফিয়া মাদ্রাসা ভর্তি করেন তাঁর পরিবার। কিন্তু মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের নাতির বিরুদ্ধে টাকা চুরি অভিযোগ করায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন রামিম।

নির্যাতনের শিকার রামিমের বাবা মেরাজুল ইসলাম রিন্টু জানান, গত ১৬ মার্চ ওই মাদ্রসার দুই শিক্ষার্থীর টাকা হারানোর ঘটনা ঘটে।এসময় আব্দুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে এবং ওই মাদ্রসার চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তুলেন রামিম। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পাইপ দিয়ে বেপরোয়া পেটাতে থাকেন আব্দুর রহমান।এসময় বেশ কয়েকবার রামিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে রামিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় রামিম এর বাবা বাদী হয়ে আব্দুর রহমানকে আসামি করে নগরীর শাহমখদুম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহাদত হোসেন জানান. ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন আব্দুর রহমান। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স/আর