নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানসহ বিভিন্ন ছবিতে সাজানো গোছানো একটি ঘর। একজন শিক্ষিকা ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন খুব যত্ম সহকারে। বাইরে চেয়ারে বসে গল্পতে মশগুল শিশুদের মায়েরা।
এমন দৃশ্য দেখা যায়, রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. তরিক শেখের ব্যক্তিগত অফিসে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক মসজিদভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রাক প্রাথমিকে ৩০জন শিশুকে এখানে পাঠদান করানো হয়৷
বিভিন্ন স্থানে খোলা জায়গায় বা কোন বাড়ির আঙিনায়, অনেক স্থানে মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক এই শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। বাচ্চাদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য মনোরম সুন্দর পরিবেশ থাকে না অনেক জায়গায়। তাছাড়া বাচ্চাদের সাথে আসা অভিভাবকরাও অনেক অপেক্ষা করার জন্য ভালো পরিবেশ পান না। বাচ্চাদের শিক্ষা কার্যক্রমে মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিক শেখের ব্যক্তিগত অফিস ব্যবহার করতে দেওয়ায় তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৫-৩০ জন শিশুর হাতে খাতা কলম, কেউ আঁকছে, কেউ লিখছে। শিক্ষিকা একজন শিশুকে পরম আদরে তার হাত দিয়ে কোন কিছু লেখানোর চর্চা করাচ্ছে। অফিসের বাইরে চেয়ারে বসে গল্পে মশগুল শিশুদের সাথে আসা অভিভাবকবৃন্দ। একজন তিন বছর বয়সী শিশুকে অফিসের দেয়ালে লাগানো থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখিয়ে বললাম ইনি কে? শিশুটি ভাঙা কন্ঠে উচ্চারণ করলো বঙ্গবন্ধু।
অফিস ঘরের ভিতরে দৃশ্যমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, তরুণ উদীয়মান নারী নেত্রী রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন ছবি। এখানে পড়তে আসা শিশুরা প্রতিদিন এসব ছবি দেখে। ফলে তাদের পরিচিতি শিক্ষা হয়।
শিশুদের প্রাক প্রাথমিক এই শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষিকা মোসা. শিলা খাতুন বলেন, বাচ্চাদের সুন্দর পরিবেশে ক্লাস করার জন্য নগর ছাত্রলীগ নেতা মো. তরিক শেখ তার অফিস ঘর ব্যবহার করতে দেওয়ায় অনেক কৃতজ্ঞতা তার প্রতি। এই শিক্ষা কার্যক্রমে তার সার্বিক সহযোগিতা সবসময় পেয়ে আসছি। তিনি এখানে আগত শিশুদের দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত করতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন ছবি ও তার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. তরিক শেখ বলেন, শিশুদের মনে দেশাত্মবোধ তৈরি করার লক্ষ্যেই এসব ছবি সাজিয়ে তুলেছি। একজন শিশু যাতে ছোট থেকেই মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে পারে বুঝতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই তো আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের গর্বিত উত্তসুরী, আমাদের জাতি ও জাতীয় চেতনার প্রতিনিধি। তাই ওদেরকে সুকৌশলে প্রারম্ভিক শৈশব থেকেই দেশপ্রেমের পাঠ দেওয়া উচিত। সেই সাথে এখানে আসা শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আধুনিক রাজশাহীর জনক রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার চেষ্টা করি। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে মহানগর ছাত্রলীগের ভূমিকা সবসময় থাকবে।
জি/আর
