শিশু সন্তান নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন রাজধানীর খোন্দকার গাউছ মহিউদ্দিন নামে এক বাবা। সন্তানকে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন তিনি। কিন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দিয়ে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে, স্ত্রী ফারিয়া আলম সন্তানসহ টার্কিশ এয়ারওয়েজে গত ১৮ নভেম্বর কানাডা চলে গেছেন।
রিট দায়েরের পরই তিনি চলে গেছেন। ওই দিনই শিশুর বাবা সন্তানকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আরেকটি আবেদন করেছেন।
রাজধানীর মিরপুরের ডিওএইচএসের বাসিন্দা খোন্দকার গাউছ মহিউদ্দিন ও মিরপুরের শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ফারিয়া আলম। দুই জনই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। ২০১০ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে এই দম্পতির সংসারে পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সুখেই সংসার চলছিল তাদের। গত জুন মাস থেকে সুখের সংসারে নেমে আসে অশান্তি। পারিবারিক অশান্তি থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মধ্যে জুলাই মাসের প্রথম দিকে ফারিয়া আলম শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাসা থেকে চলে যান। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন তিনি।
একপর্যায়ে পারিবারিক আদালতে শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে একটি মামলা করেন শিশুর মা। উপায় না পেয়ে গত ১৮ নভেম্বর চার বছরের সন্তানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে বাবা হাইকোর্টে রিট করেন। শিশুর বাবার পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ।
রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২২ নভেম্বর রুল জারি করেন। সন্তানসহ মাকে ৬ ডিসেম্বর হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে গত ৬ ডিসেম্বর পল্লবী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দিয়ে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ফারিয়া আলম সন্তানসহ টার্কিশ এয়ারওয়েজে ১৮ নভেম্বর কানাডা চলে গেছেন।
আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ জানান, হাইকোর্ট রিট মামলাটি স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন। আদালত বলেছেন, যেহেতু ফ্যামিলি কোর্টে মামলা করা আছে, সেখানে গিয়ে এ বিষয়গুলো জানান। ফ্যামিলি কোর্ট থেকে অর্ডার নেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, শিশু সন্তানকে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়েরের আগেই স্ত্রী ফারিয়া আলম সন্তানসহ কানাডা চলে গেছেন। আদালতে আমরা বলেছি- যেহেতু ফ্যামিলি কোর্টে মামলা আছে, সেখানে গিয়ে এ বিষয়গুলো জানাতে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ