শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে প্রথম প্রয়াণ দিবস

 

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাইশে শ্রাবণ বিশ^ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৫তম প্রয়াণ দিবস। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এ বছরই প্রথম শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে প্রয়াণ দিবস পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত এ বাড়িতে পঁচিশে বৈশাখে জন্মজয়ন্তি পালিত হলেও বাইশে শ্রাবণে প্রয়াণ দিবসে কোন আয়োজন হয়নি। আয়োজনক্ষুদ্র পরিসরে ঘরোয়া হলেও স্বাগত জানিয়েছেন রবীদ্রপ্রেমীরা। তারা আগামীতে দিবসটি বড় পরিসরে পালনের দাবী জানিয়েছেন।

রবীন্দ্র ভক্ত ড. আমানুর আমান বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধি ও বিশ^ দরবারে তার গৌরবান্বিত সম্মান অর্জনে কবি গুরু যে সাহিত্যকর্ম সম্পন্ন করেছিলেন তা ছিল স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়া কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে।

এখানে বসেই তিনি রচনা করেছিলেন গীতাঞ্জলি, সোনার তরীসহ সিংহভাগ সাহিত্য কর্ম। সে কারণে দেশ-বিদেশের রবীন্দ্র ভক্ত ও প্রেমিকদের অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু কবির কাব্যতীর্থ কুঠিবাড়ি।

প্রতিবছর শুধুমাত্র জন্ম জয়ন্তি নানা আয়োজনে পালিত হতো। তবে এবারই প্রথমবারের মতো কুঠিবাড়িতে প্রতত্ত্ব বিভাগ ছোট পরিসরে প্রয়াণ দিবস পালনের আয়োজন করেছে।’ এই আয়োজনকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবী জানান তিনি।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ বলেন, ‘অনেক দেরীতে হলেও এবছর প্রথমবার রবীন্দ্রনাথের ৭৫তম প্রয়াণ দিবসটি পালনে প্রতত্ত্ব বিভাগ ছোট হলেও যে উদ্যেগ নিয়েছেন, এটা আশার কথা।’

কুমারখালী শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাষ্টোডিয়ান মোখলেসুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের রবীন্দ্র ভক্ত, প্রেমিক, অনুরাগীদের দাবি ছিলে জন্মজয়ন্তির মতো তার প্রয়াণ দিবসও ব্যাপক আয়োজনে পালিত হোক।

বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এবছর প্রথমবারের মতো খুব ছোট্ট ও ঘরোয়া পরিসরে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা, সংগীত ও কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।

সূত্র: রাইজিংবিডি