সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
এয়ারপোর্টে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল সাইটে৷ তাতেই শোরগোল দেশজুড়ে৷ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে শিলচরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ৮ প্রতিনিধিদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা৷
অভিযোগ, আক্রান্ত হয়েছেন বাংলার সাংসদ-বিধায়করা৷ কিন্তু এসবের মধ্যেও উঠে আসছে একটি ছবি৷ তাতে দেখা গেল সরাসরি জখম মহিলা পুলিশকর্মীকে৷
অসম পুলিশের এই মহিলা কর্মী বৃহস্পতিবার শিলচর বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ডিউটিতে ছিলেন৷ তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে মহিলারা আছেন এমন খবর পেয়ে আগেভাগেই মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়৷ এনআরসি ইস্যুতে শিলচরের বাঙালিদের পরিস্থিতি জানতে তৃণমূল প্রতিনিধিরা শিলচরে পৌঁছতেই তাঁদের এয়ারপোর্ট লাউঞ্চে আটকে দেওয়া হয়৷ প্রাথমিক কথাবার্তায় জানানো হয়, আপনাদের প্রবেশ নিষেধ৷ এরপরেই শুরু হয় সাংসদ-বিধায়ক বনাম পুলিশের ধস্তাধস্তি৷
তাতে লেখা হয়েছে, ধস্তাধস্তির সময় বুকে ও হাতে আঘাত পেয়েছেন ওই নিরপত্তাকর্মী৷ আরও এক রক্ষীর জখম হওয়ার সংবাদ মিলেছে৷
এদিকে গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের ডিজিপি কুলাধার সইকিয়া জানান, এনআরসি চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে থেকেই রাজ্যে জারি হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা৷ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ সেটা ভেঙে শিলচরে প্রবেশ করার জন্য প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিদের নিষেধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁরা আইন ভেঙেছেন৷ তখন বাধ্য হয়েই তাঁদের জোর করে আটকে দেওয়া হয়৷
এনআরসি প্রকাশের পর থেকেই অসম জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি এবং অন্যান্য অ-অসমীয়ারা তীব্র আতঙ্কে ভূগছেন৷ বিশেষ করে শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ, কাছাড়ের বাঙালিরা৷ বাংলাদেশ সংলগ্ন এই এলাকায় বহু বাংলাভাষীর বসবাস৷ তাদের মধ্যে মুসলিম পরিবারের সংখ্যাও বেশি৷ বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করতেই এনআরসি জারি হয়েছে বলে দাবি অসম সরকার ও বিজেপির৷ এতে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম কাটা পড়েছে৷ এই ইস্যুতে সরগরম কেন্দ্রীয় রাজনীতি৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, এনআরসি চরম বিপদ ডেকে আনছে৷