শিব ও বারনই নদী বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

’একই জীবন ধারায় দু’টি নদীর প্রবাহ ফিরে পেতে চাই’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শিব ও বারনই নদী বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি তানোর উপজেলার শিবনদী সেতু সংযোগ সড়কে শিব-বারনই নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ও বে-সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিব ও বারনই দু’টি নদী বর্তমানে বিপন্ন ও বিলুপ্তির খাদের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বক্তারা এই দু’টি নদী রক্ষা করতে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধন থেকে নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনা, প্রাণ-প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র্য সকল প্রকার উদ্ভিদ, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তের হাত থেকে রক্ষা করা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য থেকে বারনই নদীর পানি দূষণ ও নদীর কোল ঘেঁসে অবৈধ্য দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় এই দু’টি নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানানো হয়।

এর আগে,  পবা উপজেলার বারনই নদীর উৎসমুখ থেকে একটি নৌযাত্রা তানোর শিবনদী পর্যন্ত করেন বারনই নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় তারা নদীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নদীপাড়ের মানুষদের সাথে মতবিনিময় করেন।

একটি শোভাযাত্রা তানোর শিবনদী সেতু থেকে শুরু করে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নদীকে রক্ষা করার জন্য ৪টি সুপারিশ তুলে ধরে তানোর শিবনদী ও পবা’র বারনই নদী রক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: শওকাত আলী, তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রেজাউল ইসলাম, তানোর শিবনদী রক্ষা পরিষদের আহবায়ক জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত কৃষক ইউসুফ মোল্লা, বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক নূর মোহাম্মদ, পবা উপজেলা বারনই নদী রক্ষা পরিষদের আহবায়ক জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক আব্দুর রহিম বক্স, যুগ্ম আহবায়ক কৃষক জব্বার মিঞা, তানোর সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক লুৎফর রহমান,সভাপতি অসীম কুমার সরকার, তানোর পৌরসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, পবা বড়গাছী সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক জুয়েল আহম্মেদ, জয়িতা নারী কবুলজান, বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের যুব সংগঠনের সদস্য, অচাষকৃত শাকসবজী সংরক্ষক নারী সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

স/অ