শিবগঞ্জ ৪ দিন ধরে অন্ধকারে:বিপাকে পরিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গত বুধবার সকাল থেকে অদ্যবধি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ৪ দিন ধরে অন্ধকারে শিবগঞ্জ পি ডি বি এর ১৪ হাজার গ্রাহকরা। এতে করে শিবগঞ্জ পুরো পৌর এলাকা, কানসাট, মনাকষা,বিনোদপুর ও দুলর্ভপুর  ইউনিয়নের আংশিক এলাকার ৬০ হাজার জনসাধারন পড়েছে চরম বিপাকে।

কানসাট পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনের মত পরিস্থিতি এড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগ শহরে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে প্রচার চালাচ্ছে। সেসাথে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিদ্যুৎ অফিসে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

তবে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে পাওয়ার ট্রান্সমিটারটি পূর্বের স্থানে স্থাপনের চেষ্টা চলছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পুরানো ট্যান্সমিটারটি গত ৩ দিন ধরে চালুর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় ৪ দিন ধরে চলছে এ অচালবস্থা। বিদ্যুৎ উনśয়ন বোডের শিবগঞ্জ আবাসিক প্রকৌশলী আজমল হক জানান, একটি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ উনśয়ন বোডের ঢাকা অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে এবং নতুন পাওয়ার ট্রান্সফর্মার ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে ।

অন্যদিকে পি ডি বি এর নির্বার্হী প্রকৌশলী মোয়াľেম হোসেন জানান,চাহিদা মোতাবেক ঢাকা থেকে ৫ এম বি এ পাওয়ার ট্রান্স মিটারটি শুক্রবার বিকেলে ট্রাক যোগে পাঠানো হলে  শিবগঞ্জে শনিবার ভোর ৬ টায় পৌছেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন  শনিবার রাতে বা রোববার নতুন পাওয়ার ট্রান্সফর্মার সংযোগ দেয়া হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এদিকে  বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অচল হয়ে পড়েছে হাসপাতাল, ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদন শিল্পসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মচঞ্চলতা । এছাড়া অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে অর্ধবাষির্কী পরিক্ষা চলায় এবং শনিবার থেকে ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা পড়েছে চরম বিপাকে।স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সংবাদ প্রেরন করতে সমস্যায় পড়েছেন।

উল্লেখ্য  বুধবার সকাল ৭টায় শিবগঞ্জের ৫ এম ভি এ পাওয়ার ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গেলে পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা উক্ত পাওয়ার ট্রান্সফর্মারটি মেরামত করলে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর আবারো বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে পৌর শহরের প্রায় ১৪ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে নিমľিত রয়েছে।

স/অ