শিবগঞ্জ বাজারের মনাকষা মোড়ে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

কামাল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: অতিরিক্ত যানজট, রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ, রাস্তার বেহাল দশা ও চৌরাস্তার মোড় হওয়ায় যাত্রীদের যেন নাভিশ্বাস উঠেছে। কোন নিরাপত্তা নেই যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিবগঞ্জ-মনাকষা মোড়টি অত্যন্ত ব্যস্ত সড়ক।

চৌরাস্তার মোড় হওয়ায় চারদিক থেকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এখানেই এসে দাঁড়ায়। তাই তো শত শত যাত্রীরও ভীড় এখানে। পা বাড়াবার স্থানটুকুও নেই। এ স্থানেই শতাধিক অটো বাইক দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীর আশায়। শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে চলাচল করে। রাস্তার দুই পাশে বড় বড় ভবন গড়ে ওঠায় রাস্তার প্রশস্ততা একেবারে সরু হয়ে গেছে। তবে ভবন মালিকদের দাবি- তাদের নিজেদের জমিতেই ভবন নির্মাণ করেছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, রাস্তার উভয় পাশে কয়েকজন প্রভাবশালী রাস্তার কিছু জমি দখল করে ভবন তৈরি করে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তবে রাস্তার জমি দখল নিয়ে উভয় পাশের ভবন মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন বলেও জানা গেছে।

এ মোড়ের রাস্তার দুই পাশে ছাই, মাটি, ময়লার স্তূপ জমে আছে। যেখানে কুকুর ও শুকুরের আনাগোনা দেখা গেছে। স্তূপে ফেলা নষ্ট খাবারগুলো কুকুরের দল খাচ্ছে; ছড়াচ্ছে যেখানে সেখানে। তার পাশে স্তূপের ওপর কয়েকটি শুকুর আরামে ঘুমাচ্ছে। দুর্গন্ধে মানুষ নাকে মুখে কাপড় দিয়ে চলাফেরা করছেন। মোড় থেকে একটু পশ্চিমে প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ ।

রাস্তাটুকু ভেঙে ছোট বড় গর্তে সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রীরা আতঙ্ক নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। অটোবাইক চালক দোয়েল বলেন, এ রাস্তাটুকু আমাদের জন্য ‘পুলসেরাত’ হয়ে গেছে। এখানে যেমন যানবাহনের কোন নিশ্চয়তা নেই, তেমনি যাত্রীদের জীবনের কোন নিশ্চয়তাও নেই।

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন নারী বলেন, এ রাস্তাটি আমাদের জন্য খুব ভয়ংকর ও আতঙ্কের রাস্তা। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, সরকারি নীতি না মেনে রাস্তার পাশে সুনির্দিষ্ট স্থান না ছেড়ে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

শিবগঞ্জের পৌর মেয়র কারিবুল হক রাজিন জানান, অল্প সময়ের মধ্যে এ সড়কের কাজ শুরু হবে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল-রাব্বি জানান, ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাস্তার পাশের দোকানপাট সরকারি স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। ময়লার স্তূপ দূর করে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করে জনদুর্ভোগ দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স/আ.মি