শিবগঞ্জ পৌরসভায় ১২৬ কর্মচারীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আমার পূর্বের পরিষদ অর্থাৎ পৌরসভার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সর্বপরি বিগত পরিষদ পর্যন্ত যে পরিষদ দায়িত্ব পালন করেছেন তারা ১২৬ জন কর্মচারীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন এবং প্রায় ১৫ কোটি টাকা দেনা রেখে গেছেন। আগের পরিষদ কোনো দেনা পরিশোধ না করে দেনার পাল্লা ভারি করেই গেছে। আমরা দায়িত্ব নেয়া ১ মাসে দেখেছি এসব দেনা পরিষদের পরিশোধ করা সম্ভব। কিন্তু তার দেনা পরিশোধ তো দূরের কথা বরং দেনার পরিমাণ বাড়িয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ পৌরসভায় পৌর মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলামের আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব তথ্য দেন।

তিনি  বলেন, ১২৬জন অবৈধ কর্মচারীর মধ্যে বিগত পরিষদ ৪৬জন কর্মচারী তাদের কোন ধরনের নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। যা ২০০৯ সালের গেজেট এবং ৩০/০৬/১৯৯৮ খ্রি. তারিখের স্মারক নং পৌর-২/পরি-৩/৯৮/৯৬১(১৬২), ২৭/০৮/২০০৫ খ্রি. তারিখের স্মারক নং পৌর-২/বিবিধ-১/২০০২/১২৫৮, ২৬/০৬/২০১১ খ্রি. তারিখের সম্বারক নং ৪৬.০৬৩.০৩১.০৮.০০.০০৯.২০১১-৭৪৫ নং স্মারকের পরিপত্র অনুয়ায়ী এধরণের নিয়োগ অবৈধ।

পৌর মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার পূর্বের পরিষদ পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের প্রায় ২ বছরের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি বকেয়া রেখে যান। যার মধ্যে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন জুলাই-২০১৯ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ২২৬ টাকা, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পি.এফ ডিসেম্বর-২০১১ হতে ২০২১ পর্যন্ত ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৯ ৬৪৪ টাকা ৯২ পয়সা, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আনুতোষিক ডিসেম্বর-২০১১ হতে ২০২১ পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৯ টাকা ২৯ পয়সা, মেয়র/কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা জুন-২০১৯ হতে ২০২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অবসর ও মৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মোট পাওনা ১ কোটি ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭২ টাকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন ৭৯ লাখ ২ হাজার ১৩৩ টাকা, উন্নয়ন প্রকল্পের পাওনা (এডিপি)র ৩ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮টাকা। মোট ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৬ টাকা ২ পয়সা।

তিনি আরো বলেন, যেখানে পরিষদের আয়ের উৎস আছে, সেখানে এতো দেনা কেনো হবে আমার মাথায় আসে না। এর আগে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা শুধু দেনায় করে গেছেন, দেনা পরিশোধের কথা একটি বারও ভাবেননি বা পরিশোধ করেননি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র ফারুক ইসলাম টুটুল,পৌর সচিব মোবারক হোসেনসহ পৌর পরিষদের কাউন্সিলরগণ।

স/জে