শিবগঞ্জে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোষ্য সনদে চাকরির অভিযোগ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আট রশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোসা সাবিনা ইয়াসমিন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোষ্য সনদে চাকরি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তারই সাবেক স্বামী মোঃ আব্দুল খালেক।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩সালের ৮ডিসেম্বর মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন আজমতপুর চাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্ত সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় ২০০৬সালের ২২জানুয়ারি। এদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের পূর্বের বিয়ের কথা জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার তার পোষ্য কোটায় নিয়োগপত্রটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।

এসময় সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম বিয়ের কাবিননামা জালিয়াতি করে বিয়ের তারিখ দেখান ২০১৩ সালের ২৬অক্টোবর এবং সেই নিকাহনামা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জমা দিয়ে নিয়োগপত্র গ্রহণ করে স্কুলে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯সালের ১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন সাবিনা ইয়াসমিনের সাবেক স্বামী মোঃ আব্দুল খালেক। কিন্ত প্রায় একবছরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আবারও গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে আগের অভিযোগপত্র ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।

এব্যাপারে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিয়ের কথা স্বীকার করে জানান, ২০০৬সালে তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বিয়ে হয়। পরে ওই স্বামীকে তালাক দিয়ে আবারও ২০১৩সালে তার সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি মোঃ আব্দুল খালেকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তাকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের প্রায় দুই মাস পর তাকে প্রায় একবছর আগে তালাক দেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আব্দুল খালেকের আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তান থাকার কথা জানতে পেরেই তিনি তাকে তালাক প্রদান করেন। কিন্ত আব্দুল খালেক আবার এখন তাকে বিয়ে করতে চান কিন্ত তিনি তাকে আর বিয়ে করবেন না বলে জানালে তার সাবেক স্বামী আব্দুল খালেক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে হয়রানি ও মানষিক চাপের মধ্যে রেখেছে। এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/আ.মি