শিবগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রেমিকার অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুই দিন থেকে স্কুল পড়ুয়া প্রেমিকা অনশন করছেন। উপজেলার দাই পুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার দশম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী বিয়ের দাবিতে দাইপুকুরিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন ও মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল আহমেদের  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মির্জাপুর বাজারে অবস্থিত মেসার্স রুবেল এন্টারপ্রাইজে গিয়ে অনশন করেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে মেয়েটি অভিযোগ করে বলেন, দাইপুকুরিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন ও মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল আহমেদের সাথে প্রায় ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। তবে ৬ মাস থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ করত রুবেল। রুবেল ও তার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমি নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে রোববার বিকেল ৫টা থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছি। তাছাড়া এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রুবেল আমার সাথে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। রুবেল যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব বলে হুমকি প্রদান করে।

এদিকে রুবেল ও তার পরিবার একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরকে হাত করে শিবগঞ্জ থানায় খবর দিলে গভীর রাতে এসআই আলমগীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে মেয়ের পক্ষে কথা বলায় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে এসআই আলমগীর পায়ে ও বুকে গুলি করে ক্রস ফায়ারের হুমকি দেয়।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে এসআই আলমগীর বলেন, আমরা তাদের দুই পক্ষকে সকালে থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করতে বলি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসা. সায়েমা খাতুন ও দাইপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল এলাকাবাসীকে নিয়ে সোমবার সকালে গ্রাম্য শালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। মেয়ে পক্ষের লোকজন উপস্থিত থাকলেও ছেলে পক্ষের কোন লোকজন শালিশ বৈঠকে হাজির হননি। পরে রুবেলের বাড়িতে গ্রামবাসীরা গেলে রুবেলের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িঘরে তালা মেরে তারা সকলেই পলাতক রয়েছে।

অবশেষে চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল এলাকাবাসীর মাধ্যমে ছেলে পক্ষকে মিমাংশা করার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেধে দেন। বর্তমানে মেয়েটি রুবেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করেছে।

স/অ