শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর ভস্মিভূত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৫ কাঠা গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল মালেকের বাড়িতে অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর ভম্মিভূত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়ে বলে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। এছাড়া আগুনে ৬টি ছাগল ও বাড়ির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পুড়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সরজামিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। এ সময় বাড়ির গৃহিনী রোকসানা বেগম পাশের ঘর থেকে ছাগলের ডাক শুনে জেগে উঠে দেখে বাড়িতে আগুন। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ আসার পূর্বেই ৪টি ঘর পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়। ঘরের ভিতরে থাকা ৬টি ছাগল, শয়ন ঘরে থাকা আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই পুড়ে ভস্মিভূত হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।

একই এলাকার বাদল, কাউয়ুম, রফিক, রেজাউল, মোশারফসহ বেশ কয়েকজন জানায়, পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে নিজ জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় গত ৩ বছর আগে নানার জমিতে আবদুল মালেক বাড়ি নির্মাণ করে। এলাকাবাসীর ধারণা- প্রায় ৬ মাস আগে একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে সাব্বির আলীর সাথে মালেকের মেয়ে শারমিনের প্রেম করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আর ৪ মাস পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরই জের ধরে সাব্বির এ অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আব্দুল মালেকের মেয়ে শারমিন খাতুন জানান, সাব্বিরের সঙ্গে আমার প্রেমের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তার নেশার টাকা আমার পিতার নিকট হতে নিয়ে দিতে না পারায় সে আমাকে একাধিকবার শারীরিক ও মানবিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে যৌতুক হিসাবে ২৬ হাজার টাকা দেয়া হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। বিবাহ বিচ্চেদের পর সে একাধিকবার মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে। আমার ধারণা এরই জের ধরে সাব্বিরই আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছ্।ে এ প্রসঙ্গে সাব্বিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন দিন কোন নেশার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এমনকি আমি শারমিনের উপর কোন নির্যাতন করিনি। সংশ্লিষ্ট ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই।

শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মাহতাব আলী জানিয়েছেন- এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

স/আ