বুধবার , ২৬ এপ্রিল ২০১৭ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শিবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ঈগল হান্ট আজকের মতো শেষের দিকে

Paris
এপ্রিল ২৬, ২০১৭ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষের দিকে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’। বুধাবর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সোয়াট সদস্যরা এ অভিযান শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরই চারটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে বাড়িটির ভিতর থেকে। তবে এখন আর কোনো বিস্ফোরণ বা গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে জলকামান নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে আজকের মতো অভিযান প্রায় শেষের দিকে।

 

কিছুক্ষণের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান সমাপণীর একটা ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন-এমন বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ‘অপারেশন‘ঈগল হান্ট’ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়াকর্মীদের জানানোর জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।

 

তারা আরো জানান, বড় ধরনের চারটি বিস্ফোরণ ছাড়াও সেখান থেকে গুলির শব্দ ভেসে আসতে থাকে। অভিযান শুরুর আগে আশ-পাশ থেকে সব মিডিয়াকর্মী ও উৎসক জনতাকে সরিয়ে দেওয়া। এর আগে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ২টি হেলিকপ্টারে করে সোয়াট সদস্যরা শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। এরপর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।

 

অভিযান শুরুর আগে জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবুর মা ফুলজানকে নিয়ে যাওয়া তাদের বাড়ির কাছে। তার মায়ের সাহায্যে ওই বাড়িতে অবস্থানকারীদের আত্মসমর্পণের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া দেয়নি জঙ্গি আবু। এরপরই অভিযান শুরু করা হয়।

 

এর আগে শিবগঞ্জের চককীর্তি ইউনিয়নের ত্রিমোহী চাতরা বাজারের শিবনগর এলাকায় ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহের একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা।

 

দুপুর দেড়টার দিকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরই মধ্যে ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বর্তমানে জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবু, তার স্ত্রী, দুই শিশুকন্যা রয়েছেন। অন্য কোনো জঙ্গি সদস্য আছেন কিনা বা থাকলেও কতজন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আবুর দুই শিশুর নাম সাদিয়া (৪) ও নুরি (৭)। তাদের মধ্যে নুরি প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

 

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি খুরশেদ হোসেন, এডিশনাল ডিআইজি ইসারুল আরেফিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত আছেন। সাধারণ লোকজনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

 

কাউন্টার টেরোরিজমের এক কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে প্রথমে কানসাট ইউনিয়নের আব্বাস বাজার এলাকার তিনটি বাড়ি ঘেরাও করা হয়। তবে সেখানে জঙ্গির কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে শিবগনগর এলাকায় অন্য একটি বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি শুরু করতে যায় কাউন্টার টেরোরিজমের সদস্যরা। এসময় ওই বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। জবাবে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর