শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: শিক্ষামন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান। তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘শিক্ষা আইন’ এর খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খসড়াটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঠানো হবে।

মন্ত্রী জানান, সরকারি ও বেসরকারি খাতের শিক্ষাঙ্গনের মধ্যে পাঠদানের এবং পাঠ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনেও বৈষম্য থাকার সুযোগ নেই। এরপরও অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা অর্জনের কৌশল হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট’ (সেকায়প) এর আওতায় সারা দেশে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ লাখ ৭০ হাজার ২৫২টি অতিরিক্ত ক্লাশ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট আট হাজার ৯১৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রকল্পটির আওতায় চার হাজার ৮০০ জন অতিরিক্ত শিক্ষক কর্মরত আছেন।

আয়েশা ফেরদাউসের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের যেসব উপজেলায় কোনেও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরিকল্পনা সরকারের রয়ে​ছে।

রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০০টি উপজেলার মধ্যে  ৪২টির নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। চারটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৮৯টি উপজেলায় ​একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজির প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪২, উচ্চমাধ্যমিকে ১:১৪ ও ডিগ্রিতে ১:২৬।

মো. আব্দুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার অংশগ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে বছরে দুটি মডেল টেস্ট গ্রহণের নিয়ম আছে। পঞ্চম শ্রেণির নি​য়মিত পরীক্ষায় যে হারে ফি গ্রহণ করা হয় সেই হারেই মডেল টেস্ট পরীক্ষার ফি গ্রহণ করার নির্দেশনা আছে। কোনও বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশে এখন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) সংখ্যা ৩৮ হাজার ১৫৮ টি। এরমধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ২৭ হাজার ৭২২টি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নির্দেশিকার সংশোধন কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়।

 

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন