শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিতর্কের চর্চা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে শুধু পাঠ্যবই পড়াই যথেষ্ট নয়, পাঠ্য বইয়ের বাইরেও শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড আছে- তার মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অন্যতম। শিক্ষার্থীদের মননশীলতা, ভালো মানসিকতা, মেধার বিকাশ, জ্ঞানার্জন ও তথ্যানুসন্ধানের জন্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহায়ক ভূমিকা রাখে। এজন্য শিক্ষার্থীদের বিতর্কের চর্চা করতে হবে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত ১৪তম নাফিয়া গাজী আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিতর্কের ক্ষেত্রে যুক্তি, নির্ভরযোগ্য তথ্য, প্রাসঙ্গিক উদাহরণ, তথ্য-উপাত্তের সমাহার ঘটিয়ে সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তবেই বিতর্কে জয়ী হওয়া যায়। তিনি জাতিসংঘের উদাহরণ দিয়ে বলেন, জাতিসংঘকে অনেকে ডিবেটিং ক্লাব বলে থাকেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিতার্কিক ও শিক্ষার্থী নাফিয়া গাজীর স্মরণে ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি বিতর্ক আয়োজন করে আসছে। ‘বৈচিত্রের ধ্বনিত হোক সৌন্দর্যের জয়গান, মৃত্যু উপত্যকার মিছিল পেরিয়ে সড়কে নেমে আসুক জীবনের ঐকতান’- এই স্লোগানকে ধারণ করে পরিচালিত এবারের বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা, লিঙ্গিয় সমতা এবং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৈচিত্র ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা।

দুদিন ব্যাপী এবারের প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহায়তা করেছে ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি অ্যান্ড প্রাক্টিস (জি আর আর আই পি পি- গ্রিপ) এবং জেন্ডার অ্যান্ড ডিজাস্টার নেটওয়ার্ক (জিডিএন)। দেশি ও বিদেশি ১৬টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যার মধ্যে ৯টি বিদেশি ও ৭টি দেশি বিতার্কিক দল অংশ নেয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের আইআইটি এবং রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪তম নাফিয়া গাজী আন্তঃবিভাগ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল বিতর্কের প্রস্তাব ছিল, ‘এই সংসদ আদিবাসী নৃগোষ্ঠি সংস্কৃতিকে পর্যটন বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় অনুতপ্ত। ’ প্রতিযোগিতায় সরকার দল ছিল- ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ। বিতর্কে বিরোধী দল ছিল- নৃবিজ্ঞান বিভাগ। ফলাফল: প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় নৃবিজ্ঞান বিভাগ। ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন সরকার দলের এস এম ফরহাদ। ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন জুবায়েদ হোসেন শাহেদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ উভয় দলকে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের সবাইকে সাফল্যের অংশীদার হিসেবে অভিনন্দিত করেন। অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ দল ও প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ