শাশুড়িকে হত্যা করে আঙিনায় পুঁতে রাখার কথা আদালতে স্বীকার সেই পুত্রবধূর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর তানোর উপজেলার উপজেলার প্রকাশনগর আদর্শ গুচ্ছগ্রামে শাশুড়িকে হত্যার পর বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন সেই পুত্রবধূ সখিনা বেগম (২২)। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

নিহতের নাম মোমেনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী। আর সেই পুত্রবধূর নাম সখিনা বেগম (২২)। তিনি মোমেনা বেগমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।

রাজশাহীর তানোর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল হালিম ভুট্টু বাদি হয়ে আটক পুত্রবধূ সখিনা বেগমকে একমাত্র আসামি করে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সখিনাকে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

এ সময় রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল মাহমুদ আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, সখিনা বেগমের বরাতে তানোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (২৯ মে) সকালে বাড়িতে ধান শুকানোর সময় মুরগি এসে ধান খায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি মোমেনা বেগম তাকে মারধর করেন। দুপুরে শাশুড়ি ঘুমিয়ে পড়লে ওই সময় বাঁশ দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন। এতেই মোমেনা বেগম মারা যান। এরপর বাড়ির আঙিনায় বড় চুলার নিচে গর্ত করে মোমেনাকে মাটি চাপা দেন পুত্রবধূ সখিনা বেগম।

তিনি আরো জানান, মাটি চাপা দেওয়ার পর পাশের বাড়িতে গিয়ে জা মমিনুলের স্ত্রী রীনাকে বিষয়টি জানান সখিনা। এরপর বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল বাশারসহ প্রতিবেশীরা গিয়ে মোমেনা বেগমের দুই পুত্রবধূ সখিনা ও রীনাকে আটক করে পুলিশে খবর। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুত্রবধূকে আটক করে।

স/অ