শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করে সরকার ভুল করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার এবং দেশব্যাপী আমাদের গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করে সরকার ভুল করছে। যখন পতন ঘনিয়ে আসে তখন একটির পর একটি ভুল হতেই থাকে। বেগম জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে যে সাজা প্রদান করা হয়েছে তা জনগণের নিকট পরিষ্কার। জনগণ এখন ক্ষুব্ধ।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল প্রতিবাদ সভা বা প্রচারণা করতে পারবে না এটি গণতন্ত্রহীনতা। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সভা সমাবেশে সরকার বাঁধা দিচ্ছে। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানে সব ধরনের নির্বাচনে সবসময় বিএনপি-ই বিজয়ী হয়। অথচ এখানেও আমাদের নামমাত্র সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ার পারর্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করায় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়েছে। জনজগণের আন্দোলনের রোষে এখন সরকার ভীত সন্তস্ত্র। নির্বাচনকে অংশগ্রহনমূলক করার দাবি এখন গোটা বিশ্বের। সরকার চাচ্ছে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখেই ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করার।’

দেশব্যাপী আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে সরকার বিভিন্ন আন্দোলনে আমাদেরকে বাঁধা দিচ্ছে। কোন ধরনের সভা সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। দিলেও তা নামমাত্র। সরকার যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছে সেই নির্বাচন তখনই সম্ভব যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’ এ সময় তিনি বর্তমান সংসদ বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানান।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি বরকতুল্লাহ বুলু, বেগম জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, রাজশাহী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলী, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ।

স/বি