শহীদ মিনারে সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

একুশে পদক পাওয়া বর্ষীয়ান সাংবাদিক, দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন জন্য তোয়াব খানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে প্রথমে ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সহকারী সামরিক সচিব সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব জিএম রাজীব আহমেদ। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি দল শ্রদ্ধা জানায়।

পরে বঙ্গবন্ধু সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উপসচিব আসাদুজ্জামান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, কুমিল্লার কাগজ, জাতীয় কবিতা পরিষদসহ আরও বেশ সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তি বর্ষিয়ান এই সাংবাদিককে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে প্রেস ক্লাবের উদ্দেশে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

গত শনিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৭ বছর বয়সে মারা যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোয়াব খান।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ‘দৈনিক পাকিস্তান’ থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তোয়াব খানের হাতেখড়ি। এরপর দৈনিক সংবাদে কাজ করেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেসসচিব ছিলেন তোয়াব খান। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

দৈনিক বাংলায় যোগ দেওয়ার আগে দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিক। ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। এরপর গত বছরের ৬ অক্টোবর নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। তখন তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিন্ডির প্রলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠান।