শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানিককালে বিব্রত প্রকাশ করেন। এখন নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তারপর প্রধান বিচারপতি আবেদনটির শুনানির জন্য অন্য আরেকটি বেঞ্চ নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন, ড. শাহদীন মালিক ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, বিশ্বজিৎ দেবনাথ প্রমুখ।

জামিন আবেদন শুনানির আগে আদালতে আবেদনটির বিষয় (মেনশন) তুলে ধরেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আমাদের একজন বিচারপতি আবেদনটি শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন। তাই আবেদনটি শুনবো না।’

তখন আদালতের কাছে বিব্রত হওয়ার কারণ জানতে চান সারা হোসেন। কিন্তু আদালত বিব্রত হওয়ার কোনও কারণ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তখন শহিদুল আলমের পক্ষে ড. শাহদীন মালিক শুনানি করতে দাঁড়ান। কিন্তু আদালত আবেদনটির ওপর শুনানি করবেন না বলে জানিয়ে দেন।

পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এখন নিয়ম অনুসারে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তারপর দ্বিতীয় কোনও বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে। ’

প্রসঙ্গত, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম ছাত্র আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) আরমান আলী।

শহিদুলের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন বিচারক । পরে গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে শহিদুল আলমের জামিন বিষয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।