শরিকদের মন্ত্রিত্ব নিয়ে মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শরিকদের মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাউকে মন্ত্রিপরিষদে স্থান দেয়ার শর্তে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়নি।

তবে আগামী পাঁচ বছরে মন্ত্রিসভায় অনেক রদবদল হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ গঠনের দিনে সোমবার সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোট কাউকে মন্ত্রী করার শর্তে গঠন করা হয়নি। মন্ত্রী হলে জোটে আছি, না হলে নাই—বিষয়টি এমন নয়। আর তা ছাড়া পাঁচ বছর অনেক বড় সময়। এর ভেতরে অনেক রদবদল হতে পারে। তখন জোট থেকে বা দলের ভেতর থেকে অনেকেরই ডাক পড়তে পারে।

গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এর মধ্যে আগে মন্ত্রী ছিলেন বা জ্যেষ্ঠ নেতা এমন ৩৬ জন বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরাও। মন্ত্রিসভায় নতুন এসেছেন ৩১ জন। এর মধ্যে ২৭ জন একেবারেই নতুন।

অন্যান্যবারের মতো এবারও মন্ত্রিপরিষদে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে, এটা বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানাভাবে আলোচনায় ছিল। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য ডাক পাওয়ার তালিকায় শরিকদের কারো নাম না থাকায় অনেকেই অবাক হন।

গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শরিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা বলেছেন, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত নন। পাশাপাশি সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তারা।

মন্ত্রী না হওয়ায় তাদের মনে কোনো কষ্ট আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গেলে মনে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। আমাকে বাদ দিলে আমিও কষ্ট পেতাম। তবে প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন সেটা সরকার, দেশ, জাতি ও দলের ভালোর জন্যই করেছেন। মন্ত্রী না হওয়ায় তাদের মধ্যে কষ্ট আছে বলে মনে হয় না।

এবার কীভাবে মন্ত্রীদের নির্বাচন করা হয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেসব এলাকা থেকে আগে মন্ত্রী করা হতো না, বঞ্চিত ছিল এলাকাগুলো, সেসব এলাকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সময় ও আধুনিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। এটি সম্পূর্ণ তাঁর এখতিয়ারে।

মন্ত্রিপরিষদে এত তরুণের সমাগম, তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চেয়ার মেকস আ ম্যান। চেয়ারই তাকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলবে। তা ছাড়া যারা পারফর্ম করতে পারবেন না, তারা বাদ পড়ে যাবেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে যে ওয়াদা করেছিলাম, সেগুলো পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করাই এখন আমাদের দায়িত্ব।