রবিবার , ১০ এপ্রিল ২০২২ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শব্দদূষণের ৮০% গাড়ির হর্ন থেকে, নষ্ট হচ্ছে ইকোসিস্টেম

Paris
এপ্রিল ১০, ২০২২ ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ঢাকাসহ দেশের অন্যন্য শহরে শব্দ মান মাত্রার দ্বিগুণের বেশি দূষণ হচ্ছে। শব্দদূষণের প্রধান উৎস গাড়ির হর্ন। ৮০ শতাংশই হয় হর্ন থেকে। নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রলিক হর্ন ৩০ শতাংশ গাড়িতে লাগানো আছে।

এটির কারণে স্থায়ী বধিরতা হতে পারে। গর্ভের বাচ্চাও ক্ষতির শিকার হয়।

গতকাল শনিবার মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের উদ্যোগে ‘পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষণে হুমকিতে জনজীবন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক কামরুজ্জমান বলেন, ‘নগর অঞ্চলের পরিবেশদূষণের অবস্থা এমন যে এখানে সর্বাঙ্গে ব্যথ্যা ওষুধ দিব কোথা? পরিবেশের কোনো উপাদানই আসলে এখানে ভালো নেই। শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ এমনকি আকাশ পর্যন্ত দূষিত হয়ে যাচ্ছে। দূষণে দূষণে একাকার। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া শব্দের পরিমাপ আমরা অনেক আগেই অতিক্রম করেছি। দেশের শব্দ ও বাতাসের দূষণ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে তা থেকে সহজে ফিরে আসা কঠিন। তবে দূষণ রোধে জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এইচ এম সাদাত বলেন,  ‘ঢাকায় বসবাসরতদের গড় আয়ু পাঁচ থেকে সাত বছর কমে যাচ্ছে পরিবেশদূষণে। দূষন রোধে আমাদের আইন আছে কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। এমনকি পরিবেশ রক্ষায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে সমন্বয় নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে, যদি পরিবেশ বা ইকোসিস্টেমকে ধ্বংস করে ফেলি, তাহলে আমরা বেঁচে থাকতে পারব না। ’

অধ্যাপক সাদাত আরো বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন নিয়েও ভাবতে হবে। উন্নয়ন যদি পরিবেশ-প্রতিবেশকে ধ্বংস করে তাহলে তা মানবজীবনের জন্য হুমকি তৈরি করবে। তাই উন্নয়নও হতে হবে সার্বিক কল্যাণে। ’

অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জনস ফর স্লিপ অ্যাপনিয়া বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনি লাল আইচ লিটু বলেন, ‘বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে জীবন ছিল প্রকৃতিনির্ভর। লাইট ইনভেনশনের কারণে জীবনে ডিপ্রেশন ও ম্যানিয়া দেখা দিয়েছে। ঘুম কম হচ্ছে, মানসিক বৈকল্য দেখা দিয়েছে। তবে আমরা শিল্প-কলকারখানা, বিদ্যুৎ, মোবাইল, তথ্য-প্রযুক্তিকে অস্বীকার করতে পারি না। আবার আমরা পাঁচ হাজার বছর আগের বনের পরিবেশে ফিরে যেতে পারব না। তবে পরিবেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে করে সবাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। ’

ড. গুলশান আরা লতিফা বলেন, ‘শব্দদূষণের কারণে ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। তাতে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিজগৎও হুমকির মুখে পড়েছে। পশু-পাখি, সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর জীবনাচার নষ্ট হচ্ছে। এই শব্দদূষণের কারণে পাখিরা পথ হারিয়ে প্রাণবিসর্জন দিচ্ছে। সামুদ্রিক জীবনাচার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে খাদ্যব্যবস্থায় বিরাট সমস্যা তৈরি হবে। ’

সাংবাদিক নিয়ন মতিয়ুলের উপস্থাপনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়