লোপ্পা বলেও ক্যাচ দিলেন ‘ওপেনার’ নাঈম!

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার স্ট্রাইক রেট ১০৫.০২! ক্যারিয়ারে কমপক্ষে ২৫০ বল খেলেছেন এমন ক্রিকেটারদের স্ট্রাইকরেটের তালিকায় প্রথম একশজনে তার নাম নেই। দেড়শ জনেও আছে কিনা সন্দেহ। ৩২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৪টি ফিফটি করেছেন। সবগুলোই ধীরগতির।

অথচ, তামিম ইকবালে অনুপস্থিতিতে গত বেশ কয়েকটি সিরিজে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নাঈম শেখকে দিয়ে ওপেনিংয়ে চেষ্টা করানো হচ্ছে! সেই চেষ্টা যে বিফলে যাচ্ছে, তা আর বলে দিতে হয় না। তাই অনেক আগেই প্রশ্ন উঠেছে, নাঈম কি টি-টোয়েন্টির যোগ্য?

আজ মঙ্গলবার সিলেটে চলমান বিপিএলের ম্যাচে নাঈমের টি-টোয়েন্টির যোগ্যতা আবারও আতশ কাঁচের নিচে এলো। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি অবিশ্বাস্যভাবে ‘ছিনতাই’ করে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এতে শেষ ওভারে চট্টগ্রামের পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তার চেয়েও বড় দায় নিতে হবে নাঈম শেখকে! জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। উইকেটে ছিলেন মারমুখী তামিম ইকবাল। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম ওভারে কায়েস আহমেদ আউট হতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা।

তামিম তখন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। নতুন ব্যাটার হিসেবে ৮ নম্বরে খেলতে নামেন নাঈম শেখ। যার প্রথম দায়িত্বই ছিল দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা তামিমকে স্ট্রাইক দেওয়া। তার বদলে পরপর দুই বলে স্লগ করতে গিয়ে ডট বল দেন! পরের বলটি ওয়াইড করেন মৃত্যুঞ্জয়। চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে দুটি সিঙ্গেল আসে। তার একটি লেগবাই। শেষ বলে চাই ৬ রান। বুক সমান উচ্চতায় নো বল করেন মৃত্যুঞ্জয়। বলটিতে স্রেফ ব্যাট পেতে দিলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার হয়ে যেত! কিন্তু সেই লোপ্পা বলেও নাঈম উদ্ভট শটে ক্যাচ দেন বোলারের হাতে! জয়ের সুযোগ তখনও শেষ হয়নি। নো বল থেকে প্রাপ্ত ফ্রি হিটের বলটাও নাঈম বাউন্ডারি পার করতে পারেননি! ৩ রানে ম্যাচ হারে ঢাকা। নাঈম অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ২ রানে!

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ