লোকেশ রাহুলের ব্যাটে ভর করে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের জয়

এবারের আইপিএলের প্লে-অফে কোয়ালিফাই করা প্রথম দলটা ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু প্লে-অফে কোয়ালিফাই করার পর থেকে টানা তিন ম্যাচে হেরে বসেছে সিএসকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরুর দিকে একের পর ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জিতেও এভাবে হারের হ্যাটট্রিক ভাবাচ্ছে সিএসকে টিম ম্যানেজমেন্টকে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ধোনির চেন্নাইয়ের থেকে অবলীলায় ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল কেএল রাহুলের পাঞ্জাব কিংস।

টসে জিতে শুরুতে ধোনির চেন্নাইকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক কেএল রাহুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে বেশ কষ্ট করেই ১৩৪ রান তোলে চেন্নাই। সিএসকের ওপেনিং জুটিকে উইকেটে জমতে দেননি পাঞ্জাবের অর্শদীপ সিং। মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ধোনির দলের তরুণ সুপারস্টার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর ক্রিজে আসেন মইন আলি। তবে অর্শদীপ সিং তাকে খাতা খোলারই সুযোগ দেননি। নামের পাশে শূন্য নিয়েই মাঠ ছাড়েন মইন আলি। পাওয়ার প্লে এর মধ্যে পরপর দুই উইকেট এনে দিয়ে ক্যাপ্টেন রাহুলের ভরসার মর্যাদা দিলেন অর্শদীপ। তবে সিএসকের ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিকে টলাতে পারেননি অর্শদীপ-রবি-জর্ডানরা। কিন্তু একা তিনিই বা আর কী করবেন। তার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থায়ী সঙ্গী যে তিনি পাননি।

রবীন উথাপ্পা ও আম্বাতি রায়ডুকে সেভাবে ক্রিজে সেট হতেই দেননি ক্রিস জর্ডান। সপ্তম ওভারে রবীন উথাপ্পা (২) এর উইকেট তুলে নেন ক্রিস জর্ডান। দুরন্ত ক্যাচ নেন হরপ্রীত বরার। নবম ওভারে রায়ডুর উইকেটও তুলে নেন জর্ডান। ধোনি ক্রিজে থাকা মানেই সিএসকের শক্তি বেড়ে যাওয়া। কিন্তু রবি বিষ্ণোইয়ের গুগলিতে মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তখনও লড়ে যাচ্ছিলেন ডু প্লেসি। জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু শেষ ওভারের তৃতীয় বলে মোহম্মদ শামি তুলে নেন ডু প্লেসির উইকেট। ৫৫ বলে ডু প্লেসির ৭৬ রানের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়।

 

১২০ বলে ১৩৫ রানের টার্গেটটা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয়, তা জানা ছিল প্রীতির দলের। আর হলও তাই ৪২ বল বাকি থাকতেই দাপটের সঙ্গে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল প্রীতির দল। রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে পাঞ্জাবের ওপেনিং জুটি। ৫ ওভারের মাথায় এসে সিএসকেকে জোড়া উইকেট এনে দেন শার্দূল ঠাকুর। সিএসকের ক্রাইসিস ম্যান শার্দূলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (১২)। ওই ওভারের শেষের বলে সরফরাজ খানকে শূন্য রানেই আউট করেন শার্দূল।

একপ্রান্ত থেকে ব্যাটার বদলে গেলেও অন্যপ্রান্তে জমে গিয়েছিলেন পাঞ্জাব ওপেনার ও অধিনায়ক কেএল রাহুল। মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেন তিনি। সরফরাজ ফেরার পর শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটি গড়েন রাহুল। ৯ ওভারে পাঞ্জাবকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন দীপক চাহার। ৮ রান করে মাঠ ছাড়েন শাহরুখ খান। তারপর ক্রিজে আসেন এইডেন মার্করাম। ৮ বলে ১৩ রান করে শার্দূল ঠাকুরের শিকার হন তিনি। সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যাওয়া লোকেশ রাহুলকে সঙ্গ দিতে আসেন মইসেস হেনরিকস। কেএল রাহুলের ৯৮ রানের অধিনায়োকচিত ইনিংসে ভর করে ধোনির চেন্নাইকে হারায় পাঞ্জাব। ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও গেল কেএল রাহুলের ঝুলিতে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন