লালপুরে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে ১৪জন নিহতের পরিচয় মিলেছে

লালপুর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুর উপজেলার পাবনা-নাটোর মহাসড়কের কদিমচিলান এলাকার সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে বাস-লেগুনার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৫ জনে। নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৭জনকে আসামী করে লালপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার পাবনা-নাটোর মহাসড়কের কদিমচিলান ইউনিয়নের ক্লিক মোড় এলাকার সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে শনিবার বিকেলে বাস-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১০ জন সহ ১৪ জন নিহত হয়। ২৬ আগষ্ট আরো ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৫ জনে। এ দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, বিআরটিএ এর উপ-পরিচালক এবং পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে লেগুনা চালক সৈয়দগুরের চিনা মসজিদ গ্রামের শাহাজাদার ছেলে আব্দুর রহিম (২৮), ও রাজা (২০), নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা বেগম (৪৫), রুপচানের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০), জামাইদীঘা গ্রামের নুরফেল সরদারের স্ত্রী লবেজান বেগম (৬৫), পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি গ্রামের মুন্টু রোজারিও বিশ্বাসের স্ত্রী আদুরি বিশ্বাস (৩৫), ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২), মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস (১০ মাস), পাবনা জেলার দাশুড়িয়ার মিরকামারি গ্রামের শাপলা আক্তার (২২) মেয়ে সুরাইয়া (১১মাস), ঈশ্বরদীর পাকশী গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে আব্দুস সাবহান (৭০), ঈশ্বদীর নিকরহাটা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী জোহুরা (৬০), টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মাকুল্লা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রোকন (২২), রাজশাহীর আবু রায়হান ।

বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি জিএম, এম শামসুন্ নূর জানান, একজনের পরিচয় না পাওয়ায় তার মৃতদেহ নাটোর আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।

লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, এঘটনায় শনিবার রাতে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এ.এস.আই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স/শ