লালপুরে প্রকৌশলী ও হিসাবরক্ষককে বের করে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কাউন্সিলররা

নিজস্ব প্রতিবেদক,নাটোর:

স্বেচ্ছাচারিতা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নাটোরের লালপুরে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও হিসাবরক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ কাউন্সিলররা। বুধবার দুপুরে গোপালপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নূরনবী সরকার এবং হিসাব রক্ষক শহিদুল ইসলামকে কক্ষ থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয় কাউন্সিলররা।

বিক্ষুদ্ধ কাউন্সিলররা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোপালপুর পৌরসভার সচিব এবং হিসাবরক্ষক পদ শূণ্য রয়েছে। তবে হিসাবরক্ষক পদে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে চুক্তি ভিত্তিক এবং সহকারী প্রকৌশলী নূরনবী সরকারকে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে পৌরসভা দায়িত্ব দেয়। তবে ওই দুই ব্যাক্তি দায়িত্ব মেয়র’র সাথে যোগসাজস করে কাউন্সিলরদের না জানিয়ে পৌরসভার সকল কাজকর্ম পরিচালনা করে আসছে।

কাউন্সিলর আব্দুল বারী বাবলা, নাজির উদ্দিন, জামিরুল ইসলাম ও প্যানেল মেয়র সেলিম রেজা বলেন, আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর দু’টি অর্থ বছর পার হচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি ইটও ফেলতে পারিনি।

 

এছাড়া রোড লাইট, স্যানিটেশন ইত্যাদির মতো জনকল্যাণে আমরা কোন রকম কাজ এ পর্যন্ত করতে পারিনি। এলাকায় জনগণের সামনে আমারা দাঁড়াতে পারছি না। পৌরসভার উন্নয়ন কল্পে এখন পর্যন্ত এডিবি’র ৫০ লক্ষ টাকা এসেছে। এ টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে, তাও আমাদের জানা নেই।

কাউন্সিলররা আরো বলেন, আজ বৃহস্পতিবার হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার হবে, অথচ কাউন্সিলরদের তা জানানো হয়নি। এই ইঞ্জিনিয়ার কাম সচিব সকল অকাজের কাজী। তিনি জন প্রতিনিধিদের সম্মান পর্যন্ত করেন না বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলরা।

ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে কাউন্সিলররা সহকারী প্রকৌশলী নূরনবী সরকার ও চুক্তিভিত্তিক হিসাব রক্ষক শহিদুল ইসলামকে বের করে তাদের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী নূরনবী সরকার বলেন, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন মেয়র মেয়রের নির্দেশের বাইরে আমি কিছু করতে পারি না। অথচ সব চাপ আমার উপর।

 

তালা ঝুলন্ত থাকলেও তালা লাগানোর ঘটনা অস্বীকার করে গোপালপুর পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম বলেন, সব কিছু ঠিকঠাক আছে। দেশ ব্যাপী কর্মবিরতির অংশ হিসেবে কাউন্সিলররা তাদের কর্মবিরতি পালন করছে। তালা ঝুলানোর কোন ঘটনা ঘটেনি।

স/অ