লালপুরে জালাল হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

লালপুর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরের মেধাবী ছাত্র জালাল হত্যার এক বছর পূর্তিতে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার এ মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ, শিশু, তার পরিবারসহ সর্বস্তরের জনতা।

গত এক বছরেও জালাল হত্যার প্রধান আসামীসহ বাঁকি আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় এই কর্মসূচী পালিত হয়। প্রধান আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় জালালের বৃদ্ধ মা-সহ পরিবারের সদস্যদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি লালপুর ত্রিমোহিনী চত্তর থেকে লালপুর থানা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাব চত্তর হয়ে লালপুর পাবলিক লাইব্রেরী মোড় সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

লালপুর ত্রিমোহিনী চত্তরে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ পাপ্পু, জালালের মা রাজিয়া বেওয়া, রোন শহিদা ও রুলিয়া, ছাত্র আন্দেলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মনজুর রহমান মিঠু, প্রভাষক আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।


বক্তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জালালের খুনীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দেন। বক্তব্যকালে জালালের মা রাজিয়া বেওয়া ছেলের খুনীদের বিচারের দাবী জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

লালপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর রাতে নিজ বন্ধুদের হাতেই হত্যার শিকার হয়েছিলেন লালপুরের মেধাবী ছাত্র জালাল উদ্দীন। জালাল হত্যার মূল হোতা ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। ব্যবসার প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক খুব ঠান্ডা মাথায় জালালকে হত্যা করা হয়। ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর সকালে লালপুর থানা পুলিশ পদ্মার চর থেকে জালালের লাশ উদ্ধার করেন।

এ ঘটনার ৪/৫ দিনের মাথায় জালালের বন্ধু সাদ্দাম ও রুবেলকে আটক করে পুলিশ জালাল হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হলেও আজ পর্যন্ত প্রধান আসামীসহ বাঁকি আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি লালপুর থানা পুলিশ।

এব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, এ ঘটনায় লালপুর থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে সাদ্দাম ও রুবেলকে আটক করে। আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। তাদের আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সাদ্দাম ও রুবেল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে । বাঁকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে।
স/শ