লালপুরে জমজমাট পদ্মা নদীর টাটকা মাছ বাজার

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুর বাজারে সকাল থেকে জমে ওঠে পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রকার টাটকা মাছের বাজার। বুধবার (২৮ জুলাই ২০২১) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, লালপুর বাজারের এক্সিম ব্যাংকের সামনে অনেকে দুরদুরান্ত থেকে নদীর টাটকা মাছ কিনতে এসেছেন ক্রেতারা ।
জেলেরা গামলা-থালায় করে চিংড়ি, বেলে, টেংরা, পুঁটিসহ নানা প্রজাতির মাছের পশরা বসিয়েছেন। ওজন ছাড়া ‘হাকচা’ দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ।
জেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, রাতভর নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরেন। বেশি হলে আড়তে বিক্রি করেন। অল্প হলে আড়তে পোশায় না। তাই উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করছেন। তিনি আরো বলেন, লালপুরে পদ্মাতীরবর্তী দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া, লক্ষীপুর, গৌরীপুরে প্রতিদিন সকালে এ রকম মাছের বাজার বসে।
জেলে এনামুল হক বলেন, খলসুন ও ছিপ (বর্শি) দিয়ে মাছ ধরেন। অনেক সময় ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের বড় মাছও পান। সেগুলো হাজার টাকার বেশি কেজি দরে বিক্রি হয়।
মাছ কিনতে আসা দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, বাড়িতে মেয়ে জামাই এসেছে। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এখানে নদীর টাটকা মাছ কিনতে এসেছেন। দামও তুলনামূলক কম।
হোটেল মালিক মামুনুর রহমান বলেন, নদীর মাছের চাহিদা বেশি। তাই হোটেলের জন্য এখান থেকে মাছ কেনেন। লকডাউনে সব বন্ধ থাকায় মাছ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া স্থানীয় পুকুর ও নদী থেকে ক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন লালপুর মাছের আড়তে। মাছ চাষী বজলুর রহমান বলেন, পুকুরে মাছ চাষ করে বাজারে বিক্রি করতে আসেন। সব ধরণের মাছ এখানে পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী রুস্তম আলী বলেন, বাজারে প্রতি কেজি মৃগেল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, সিলভার কার্প প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। বড় ও তাজা মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
স/রি