লালপুরে চাঞ্চল্যকর আলট্রাসনো সহকারী হত্যার রহস্য উদঘাটন 

লালপুর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা সম্পর্কের দ্বন্দ্বে প্রেমিকের হাতে মাহমুদা আক্তার বীথি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক মো. জাহিদ হাসান সাদ্দামকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর ২০২৩) আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে নাটোরের বড়াইগ্রামের আহাম্মেদপুরের কামারদহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মো. সোহরাব হোসেনের ছেলে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বরমহাটি (নাখরাজপাড়া) গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে ও গোপালপুরের মুক্তার জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি সহকারী মাহমুদা আক্তার বীথি ক্লিনিকের ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি মহল্লার তোফাকাটা মোড় এলাকার একটি আম বাগানে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। দুই সন্তানের মা নিহত বীথির স্বামীর সাথে দুই বছর আগে তালাক হয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে লালপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন (লালপুর থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২৪/১১/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড)।
জানা যায়, ছয়-সাত মাস আগে জমি রেজিস্ট্রি করার সময় উভয়ের সঙ্গে বনপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাদ্দাম ও বীথির পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালো লাগা, তারপরে ভালোবাসা।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মো. জাহিদ হাসান সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন। তার দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের সাথে ভিকটিম বীথির দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল।
এক পর্যায়ে বীথি আসামি সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাদ্দাম এতে অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাদ্দাম কৌশলে বীথিকে ডেকে নেন। এরপর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে যান।
এইচ/আর