লাদাখে চীনের পর ভারতের বাড়তি সেনা মোতায়েন

লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনা মোতায়েনের পর ভারত অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে। সিকিমে চীন ও ভারতীয় সেনাসদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়।

নয়াদিল্লি বলছে, লাদাখের ভারত-চীন সীমান্ত বরাবর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেইজিং। ফলে ওই এলাকা আরও সুরক্ষিত করছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজার পত্রিকা সরকারের বরাত দিয়ে বলছে, লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে চীন। লাদাখে গালওয়ান নদীর পাড়ে একের পর এক তাঁবু স্থাপন করছে চীনা বাহিনী। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর নিজেদের শক্তিও বাড়িয়ে চলেছে বেজিং। এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকার উত্তেজনা বাড়ছে। তাই ওই সীমান্তে পাল্টা শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও।

সরকারের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, ‘গত কয়েকদিন ধরেই এলএসি বরাবর সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চীন। তাই আমরাও শক্তিবৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছি।’ তার মতে, ‘এটা সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যেহেতু এমন ঘটছে তাই আমরাও শক্তি বাড়াচ্ছি।’

এদিকে সিকিমের ঘটনার পর সেনাপ্রধান এমএম নারাবানে বলেন, দৈনিক অন্তত ১০টি জায়গায় দু’পক্ষের বৈঠক হচ্ছে এবং সেই জায়গাগুলোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু দু-একটি জায়গায় যেখানে কর্মকর্তা বদল হচ্ছে সেখানে এমন উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, শুধু গালওয়ান উপত্যকাই নয়, পূর্ব লাদাখের ডেমচকে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। লাদাখের এই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি।

এক কর্মকর্তা জানান, এলএসি নিয়ে প্রায়শই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাধে। তবে এই বিষয়গুলো মিটেও যায়। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের আরেকটি অংশের মতে, গত এক সপ্তাহের ভেতর নাকুলা ও লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি মোটেই কাকতালীয় নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বাড়ার ফলেই ভারত মহাসাগরে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে বেজিং, যা ক্রমশই নয়াদিল্লির কাছে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।