‘লাইলীকে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে কথিত স্বামী শরিফুল’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুরে ‘কথিত স্বামী’ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে লাইলী বেগম নামে এক গৃহবধুকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অর্থের প্রলোভনে পড়ে লাইলী বেগমকে তার প্রথম পক্ষের স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করে এবং পরবর্তীতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নির্যাতন চালিয়ে মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন লাইলী বেগমের প্রথম পক্ষের স্বামীর আত্মীয়-স্বজনরা। এ সময় লাইলী বেগমের ছেলে রাহিন (১৪) এবং মেয়ে লিলি (৯) উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে লাইলী বেগমের ভাবী তসলিমা বেগম ( প্রথম পক্ষের ভাসুরের স্ত্রী) বলেন, লাইলী বেগম শরিফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী তা কেউ জানতেন না। কারণ প্রথম স্বামী মজিবুর রহমানকে লাইলী বেগম কিংবা মজিবুর রহমান কেউ তালাক দেয় নি। লাইলী বেগম শাড়ি কাপড়ের ব্যবসার মাধ্যমে বেশ কিছু অর্থ করলে শরিফুল ইসলামের কু-নজর পড়ে। একপর্যায়ে লাইলী বেগমকে ফুসলিয়ে তালাক ছাড়াই লাইলী বেগমের বাড়িতে থাকা শুরু করে। এসময় দীর্ঘ সাত বছর প্রথম স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে। এরমধ্যে লাইলীর টাকা-পয়সা দিয়ে সে কোর্ট এলাকায় কাপড়ের দোকান দেয়। এছাড়া অবৈধভাবে মাদক চোরকারবারের মাধ্যমে শরিফুল বিপুল অর্থ অর্জন করেছে। এরপরও সে লাইলীর সম্পূর্ণ টাকা লোপাটের জন্য বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো।

একপর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে মুখে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ৩ থেকে ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করে লাইলী বেগম। এ ঘটনায় থানায় রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দিলেও মেডিক্যেল সার্টিফিকেট না থাকায় ময়নাতদন্ত করে নি। বরং মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে থানা মামলা নিতে তালবাহানা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- লাইলী বেগমনের মামী শ্বাশুড়ি রাশেদা বেগম, ভাবী রেহেনা বেগম ও ননদ আমিনা খাতুন।

লাইলী বেগমের দ্বিতীয় স্বামী (কথিত) শরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৮২৩৩৩৩৮৪৪) যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

স/অ