লর্ডসে ট্রান্স-তাসমান ‘যুদ্ধ’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। চার বছর আগে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে খেলা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড আবার ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে মুখোমুখি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মতোই সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। আজ (শনিবার) লর্ডসের ট্রান্স-তামসান ‘যুদ্ধ’ জিততে পারলে নিউজিল্যান্ডও সঙ্গী হবে তাদের। তাসমান সাগরের দুই পারের দেশের উত্তেজনাকর লড়াইটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সরাসরি দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস থ্রি চ্যানেলে।

চার বছর আগে এই কিউইদের হারিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আয়োজক দুই দেশের দেখা হয়েছিল দুইবার। গ্রুপ পর্বে অকল্যান্ডে কেন উইলিয়ামসনের ‘বিখ্যাত’ ছক্কায় জয় নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে মেলবোর্নের একতরফা ফাইনালে শিরোপা উল্লাসে মেতেছিল অস্ট্রেলিয়া।

যদিও চার বছরে অনেক পরিবর্তনই দেখা গেছে। কিছুদিন ‍আগেও যদি বলা হতো, সবার আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে অস্ট্রেলিয়া, তাহলে সেটা হাসির খোরাকই কেবল জোগাতো। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে চেনা রূপে ফিরে সবার ‍আগে তারা নিশ্চিত করেছে শেষ চার।

দ্বিতীয় দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে আজ। সেজন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় চাই তাদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই সুযোগ ছিল, কিন্তু টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম হারে সুযোগটা নষ্ট করেছে কেন উইলিয়ামসনরা। বাকি দুই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই সমীকরণটা মিলিয়ে নিতে পারবে তারা। শেষ ম্যাচ তাদের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, তবে নিশ্চিতভাবেই সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে চাইবে না কিউইরা। এই ম্যাচের আগে ৭ খেলায় ১১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের লড়াই সবসময়ই উত্তেজনায় ঠাসা। আর উপলক্ষটা যখন বিশ্বকাপের মঞ্চ, তখন বলার অপেক্ষা রাখে না লর্ডসে উপভোগ্য এক ম্যাচ অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। এই মহারণে অস্ট্রেলিয়া খুব সম্ভবত একাদশে পরিবর্তন আনবে না। দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা শোনা গেলেও কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ তাদের খেলার ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

বিশ্বকাপের শুরু থেকে একই একাদশ নিয়ে খেলছে নিউজিল্যান্ড। তবে প্রতিপক্ষ যেহেতু অস্ট্রেলিয়া, তাই প্রথমবার বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে পেসার টিম সাউদিকে। ব্যাটিংয়ে বেশ ভুগতে হচ্ছে কিউইদের, বিশেষ করে ওপেনিংয়ে। সেদিন বিবেচনা করলে কপাল খুলে যেতে হেনরি নিকোলসের।