লভ্যাংশ অর্ধেকেরও নিচে নামাল জিপি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মুনাফা বাড়লেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন আগের বছরের চেয়ে অর্ধেকেরও কম লভ্যাংশ দিচ্ছে।

২০১৯ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের চূড়ান্ত হিসাবে ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে অপারেটরটির পরিচালনা পর্ষদ। সোমবার বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ।

এর আগে অপারেটরটি ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৯০ শতাংশ অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ দেয়। এ হিসাবে পুরো বছরের জন্য ১৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে গ্রামীণফোন। ২০১৮ সালে দিয়েছিল ২৮০ শতাংশ।

গ্রাহক ও আয় বিচারে দেশের শীর্ষ অপারেটরটি ২০১৮ সালে ১৫৫ শতাংশ চূড়ান্ত ও ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিয়েছিল।

গ্রামীণফোন সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) অর্থ্যাৎ প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে ২৫ টাকা ৫৬ পয়সা। গত বছর যা ছিল ২৪ টাকা ৭১ পয়সা।

২০১৯ সাল শেষে মোবাইল অপারেটরটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৭ টাকা ২৮ পয়সা।

সোমবারের পর্ষদ সভায় সুপারিশ করা চূড়ান্ত লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে বার্ষিক সাধারণ সভা হবে ২১ এপ্রিল।

দীর্ঘদিন থেকে বিপুল পাওনা নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে টানাহেচড়ার কারণে শেয়ারটির দর ক্রমাগত কমছে। গত দু’বছরে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঁচশ’ টাকা থেকে অর্ধেকের বেশি কমে ২৩০ টাকায় নেমেছিল। সোমবার এর সর্বশেষ দর ছিল ২৭১ টাকা ৪০ পয়সা।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ১২ হাজার কোটি টাকা অডিট আপত্তি নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে চাপে রয়েছে গ্রামীণফোন। এ নিয়ে দেনদরবার শেষে আইনি লড়াই চালাচ্ছে অপারেটরটি।

সর্বশেষ বিপুল অডিট আপত্তির দাবির বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য উচ্চ আদালতের দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনার বিরুদ্ধে রিভিউ চেয়েছে তারা। এতে ১২ কিস্তিতে ৫৭৫ কোটি টাকা দিতে চেয়েছে।