লটারির পর কৃষকের তালিকা টানানোর নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর

ধান সংগ্রহে লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের তথ্য কেন্দ্রে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এছাড়া সরকারি খাদ্য গুদামের কার্যালয়ে দৃশ্যমানভাবে তালিকা টানিয়ে দেয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।

সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করেন, তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। লটারির পর অপেক্ষমাণ কৃষকের নামের তালিকাও তৈরি করে রাখতে হবে।

কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন হয়রানির মুখে পড়তে না হয়, এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ সময় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরোনা চাল নেওয়া যাবে না। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহ করা চাল এবারের বোরো ধানের চাল।

ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক এবং খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকেরা বক্তব্য দেন।