লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত ইঞ্জিনরুম থেকেই: তদন্ত কমিটির প্রধান

ঢাকা-বরগুনা নৌরুটে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইঞ্জিনরুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

তদন্ত কমিটির প্রধান তোফায়েল ইসলাম রোববার সকালে বরগুনা সার্কিট হাউস হল রুমে প্রত্যক্ষদর্শী ২২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আজ রোববার দুপুরে বরগুনা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তদন্ত কমিটির প্রধান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তোফায়েল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরদিনই তদন্ত কমিটির সব সদস্য আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি পরিদর্শন করি। এছাড়াও যে স্থানে লঞ্চে আগুন লাগে এবং যেখানে এসে লঞ্চটি পাড়ে থেমে থাকে ওই এলাকায়ও আমরা ঘুরেছি, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাও বলেছি। তাদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি। ইঞ্জিনরুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

তোফায়েল ইসলাম আরও বলেন, লঞ্চের মাস্টার প্রশিক্ষিত কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখছি। নৌযানটিতে কারিগরি কোনো ত্রুটি ছিল কিনা তাও দেখা হবে।

কবেনাগাদ তদন্ত শেষ হবে এবং প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এমন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনো মাঠে কাজ করছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি, ছবি তুলছি। আমরা আরও কয়েক দিন মাঠে কাজ করব। তারপর ঢাকায় গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য ও সব বিষয় পর্যালোচনা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করব। চার সদস্যের তদন্ত কমিটির ২২ জন প্রত্যক্ষদর্শীর আলাদা আলাদা জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরদিনই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তোফায়েল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে নৌপুলিশের একজন পুলিশ সুপারসহ সাতজনকে সদস্য করা হয়। এরা ঝালকাঠি ও বরগুনায় মাঠপর্যায়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে ৩৭ জনেরই বাড়ি বরগুনায়। এছাড়াও আহত রয়েছে শতাধিক যাত্রী,  নিখোঁজও আছেন অনেকে। বরগুনায় নিহতদের ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।

 

সূত্রঃ যুগান্তর