লকডাউন শেষে সিলেটে বিয়ের ধুম

সিলেটে বিয়েসাদিতে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করার রেওয়াজ বহু পুরনো দিনের। ধনী-গরিব সবাই সাধ্যানুযায়ী আয়োজন করেন বিয়ের অনুষ্ঠানের। সিলেটে ধনীদের বিয়েতে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি নিত্যনতুন কিছু নয়।

কিন্তু করোনাভাইরাস আসার পর থেকে সিলেটে বড় বড় কমিনিটি হলে বিয়েসাদি খুব কমই ছিল। বিধিনিষেধের কারণে বিয়ের আয়োজন নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়তে হয় আয়োজক পরিবারের। এবার টানা লকডাউন শেষে সিলেটে শুরু হয়েছে বিয়েসাদির আয়োজন।

সিলেটসহ সারাদেশে গেল ১০ আগস্ট লকডাউন শেষ হয়। ১১ আগস্ট থেকে সিলেটের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও পার্টি হলে শুরু হয় বিয়েসাদির অুনষ্ঠান। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ আগস্ট থেকে দেশের কমিউনিটি সেন্টার খুলে দেওয়া হবে। এজন্য সিলেটে এখনো ছোট-ছোট হলে অনুষ্ঠান হচ্ছে বিয়ের।

আজ শুক্রবার সিলেটের প্রায় সব ছোট ও মাঝারি হলে বিয়ের অনুষ্ঠান হতে দেখা যায়। করোনার মাঝে এসব বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিও কম দেখা যায়নি। উপস্থিতিদের মধ্যে মাস্ক কিংবা সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না।

শুক্রবার জিন্দাবাজারের একটি ছোট হলে বিয়ে হয় উপশহরের ইমতিয়াজ রহমান আরাফাতের। তার বাবা ইন্তাজ আলীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকদের। তিনি জানান, কয়েক মাস আগে তার ছেলের বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু বারবার লকডাউনের কারণে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারছিলেন না। তবে উভয়পক্ষ ঠিক করে রেখেছিলেন লকডাউন শেষ হওয়া মাত্রই যেকোনোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করার। সেই আলোকে কমিউনিটি সেন্টারের অপেক্ষা না করে আজ বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেন।

বরের এ অভিভাবক এ-ও বলেন যে, দেশে করোনাভাইরাস বাড়ছে প্রতিদিন। কমিনিটি সেন্টারের অপেক্ষা করে যদি আবার লকডাউন হয় তাহলে আরও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হত। তাই ছেলের এ বিয়ের অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে হলেও শেষ করেছেন।

জিন্দাবাজারের আল-হামরা শপিং সিটির বাফেট প্যারাডাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম সরকার বলেন, প্রায় দেড় বছর থেকে করোনাভাইরাসের কারণে বারবার লকডাউন ছিল দেশে। এতে করে হলে তেমন কোন বিয়েসাদি ছিল না। অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে, এবার লকডাউন শেষে হলে বিয়ের চাপ বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনও কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠানের বুকিং হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন