লকডাউনে ‘ডোরস্টেপ ডেলিভারি’ সুবিধা দিচ্ছে ভিভো : কল করলেই পৌঁছে যাবে স্মার্ট ফোন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বর্তমানে চলমান কঠোর লকডাউনে গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সারাদেশে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এখন যেকোনো সময় ভিভো হটলাইনে কল করলেই ভিভো স্মার্টফোন পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের ঘরের দরজায়। এই সার্ভিসকে ভিভো বলছে ‘ডোরস্টেপ ডেলিভারি’ সার্ভিস।
হোম ডেলিভারির এ সময়ে সংক্রমণ রোধ করতে সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে ভিভো। হোম ডেলিভারি সেবা পেতে গ্রাহকেরা ভিভো হটলাইন ০৯৬১০৯৯১০৭৯ নাম্বারে কল করতে পারেন। এজন্য গ্রাহককে অতিরিক্ত কোনো ডেলিভারি চার্জও দিতে হবে না।

চলতি বছর দেশের বাজারে আসা ভিভো ভি ও ওয়াই সিরিজের স্মার্টফোনগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে লেটেস্ট সিরিজ ভি২১; তুমুলভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এর নাইট সেলফি প্রযুক্তির জন্য। এছাড়া, সার্বিকভাবে সেরা পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বাজেট স্মার্টফোন হওয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভিভো’র তারুণ্যনির্ভর ওয়াই সিরিজ। শক্তিশালী ব্যাটারি এবং অত্যাধুনিক ক্যামেরা প্রযুক্তির সাথে সাথে বাজেট ফোন হওয়ায় ভিভো’র সবচেয়ে বেশি বিক্রিত স্মার্টফোন ওয়াই সিরিজ। ভিভো জানায়, চলতি বছর বহুল পরিমাণে বিক্রিত ভিভো স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিভো ভি২১, ভি২১ই, ওয়াই১২এস, ওয়াই১এস, ওয়াই২০জি এবং ওয়াই৫১।

বিনামূল্যে এই ‘ডোরস্টেপ ডেলিভারি’সার্ভিস বিষয়ে ভিভো বাংলাদেশের সেলস ডিরেক্টর শ্যারন বলেন, ‘ভিভো সবসময়ই গ্রাহকদের রুচি, পছন্দ ও প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। সে অনুযায়ী স্মার্টফোনের ফিচার ও দামেরও সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করে ভিভো। গ্রাহক কেন্দ্রিক ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই সারাদেশে ডোরস্টেপ ডেলিভারি সার্ভিসের সূচনা করেছে ভিভো। বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনকে চলমান রাখার পাশাপাশি, আমাদের সাথে যারা কাজ করেন তাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করবে এই সেবা।’

ভিভো প্রসঙ্গে: ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা ডিজাইন ড্রিভেন ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত মোবাইল ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।

স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।

এএইচ/এস