র‌্যাব গোয়েন্দা প্রধানের জানাজা সম্পন্ন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালম আজাদের প্রথম ও দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার বাদ জুমা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ও বিকেল ৩টায় র‌্যাব সদর দপ্তরে তার জানাজা হয়।

এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবুল কালাম আজাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেখান থেকে তার লাশ ক্যান্টনমেন্টে নেওয়া হয়।

বাদ জুমা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম জানাজার পর তার মরদেহ আনা হয় সর্বশেষ কর্মস্থল র‌্যাবের সদর দপ্তরে। বিকেল ৩টায় সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হয়।

দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজা শেষে তারা আবুল কালাম আজাদের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর র‌্যাব সদস্যরা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আবুল কালাম আজাদের মরদেহ সেখানে কিছুক্ষণ রাখা হয়। পরে একটি লাশবাহী গাড়িতে করে লাশ ঢাকার সামরিক কবরস্থানে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।

আবুল কালাম আজাদ ১৯৭৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স শেষ করে ১৯৯৬ সালে ৩৪তম বিএমএ লং কোর্স শেষ করেন। ২০১১ সালে পুলিশের বিশেষ ফোর্স র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। ওই বছরই তাকে পদোন্নতি দিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন আবুল কালাম আজাদ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার কিছু পর ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। ২৫ মার্চ শনিবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ী এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত হওয়ার পর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ‍ছিলেন।

সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের পরামর্শে এবং পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার তাকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরত আনা হয়।

সূত্র: রাইজিংবিডি