রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জোর প্রচেষ্টা চলছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে স্থায়ী সমাধান খোঁজার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিকসহ বহুপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভায় যুক্ত হন।

সরকারের পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর থেকে যতবার বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে তাদের সময় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র নীতি বলতে আদৌ কিছু ছিল কি? যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে তাদের মুখে নীতির কথা মানায় না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার সব ক্ষেত্রে ভিশনারি নীতি মেনে সুদক্ষভাবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এই ভীত গড়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আসলে বুঝতে পারেন নাই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে পক্ষ হল- মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে উদ্ভূত ঘটনায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশের জনগণের সহমর্মিতা ও মানবিকতার দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিয়েছিল সরকার।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মোশতাক-জিয়া চক্রের ভূত দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। যে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল, তারা সেই পাকিস্তানের ভাবাদর্শে দেশকে গড়ে তুলতে উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। তারা অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জাতির বিবেককে কারারুদ্ধ করে ফেলেছিল।

শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু প্রমুখ বক্তব্য দেন।