রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি সু চি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠকে রাখাইনে সেনাদের হাতে রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী জাতিসংঘের বিশেষ দূত প্রামিলা প্যাটেন চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। চারদিনের এই সফরে তিনি রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।এদের মধ্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিও রয়েছেন। তবে রাখাইনে সেনাবাহিনী,সীমান্তরক্ষী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা যে ‘ব্যাপক ও কাঠামোগত পন্থায়’ যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে সে ব্যাপারে সু চি ‘কোনো ধরণের বাস্তব’ আলোচনা করতে রাজী হননি।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে প্রামিলা প্যাটেন লিখেছেন, ‘স্টেট কাউন্সিলের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠকটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা যায়, প্রকৃতি অনুযায়ী যা ব্যর্থ’।

২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যা-ধর্ষণসহ সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর এই নিধন অভিযানে কমপক্ষে ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী সু চি।

প্রামিলা প্যাটেন জানান, রোহিঙ্গা নিপীড়নে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের উত্তর না দিয়ে সু চি তাকে জানিয়েছেন মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আরও যে কয়েকটি বৈঠক রয়েছে সেগুলো তিনি উপভোগ করবেন।

প্রামিলার দাবি, ওইসব বৈঠকেও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা নিপীড়নের অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি, এগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘অতিরঞ্জিত ও সাজানো সংবাদ।’

সূত্র; রাইজিংবিডি