রোনালদোর ঘরে ফেরা নির্ভর করছে গাড়ি কোম্পানির ওপর

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আবারও ফিরবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই ২০০৯ সালে ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই থেকে থেকে এই গুঞ্জন উড়ে বেড়িয়েছে ফুটবল বিশ্বে। এর মাঝে কেটে গেছে প্রায় এক যুগ। রিয়ালে ইতিহাস গড়ার পর জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন এই পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু যে ক্লাবে রোনালদোর তারকা হয়ে ওঠা, সেই ইউনাইটেডেই ফেরা হয়ে ওঠেনি।

এবার কি হবে? হয়তো হবে, হয়তো না। তবে পর্তুগালের সংবাদমাধ্যম অটোএস্পোর্তের খবর সত্যি মানলে অবশেষে ইউনাইটেড-সমর্থকদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হতে চলেছে। তারা জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা জুভেন্টাস ছেড়ে পাড়ি জমাতে পারেন ইউনাইটেডে। তবে সেটি নির্ভর করছে বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি শ্রেভ্রোলে এর উপর।

৩৫ বছর বয়সে অধিকাংশ খেলোয়াড় যেখানে বুটজোড়া তুলে রেখে স্যুট পরে হয় টিভি চ্যানেলে বিশ্লেষণ করতে, নয় ডাগআউটে কোচিং করতে চলে যান, রোনালদো এখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। এখনো সেরাদের কাতারে ধরে রেখেছেন নিজেকে। বিশ্বের অন্যতম দামি তারকাও তিনি। ফলে, তাঁকে আনতে বেশ ভালো পয়সাই খরচ করতে হবে ইউনাইটেডকে। আর অটোএস্পোর্তে জানিয়েছে, এ কাজে তাদের সহায়তা করতে পারে ইউনাইটেডেরই স্পনসর—শ্রেভ্রোলে। বিশ্বখ্যাত এই গাড়ি কোম্পানির লোগো সেই ২০১৪ সাল থেকে ইউনাইটেডের জার্সির বুকে শোভা পায়। আর জুভেন্টাস থেকে রোনালদোকে নিজেদের মক্কেলের ঘরে আনতে শেভ্রোলেও সাহায্য করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে এই সংবাদমাধ্যম।

করোনার কারণে অন্যান্য ক্লাবের মতো খরচ কমানোর ব্যাপারে জুভেন্টাসও আগ্রহী। রোনালদোকে বেচতে পারলে ট্রান্সফার ফি তো পাবেই, তা ছাড়া বেতন বাবদ প্রতিবছর কর-পরবর্তী প্রায় তিন কোটি ইউরো বাঁচবে তাদের। ওদিকে জুভেন্টাসের জার্সির স্পনসর আবার শেভ্রোলের প্রতিদ্বন্দ্বী, আরেক গাড়ি কোম্পানি—জিপ। রোনালদোকে জুভেন্টাসের হাত থেকে আনতে পারলে জিপকেও ব্যবসার দিক দিয়ে ভালোই টেক্কা দেওয়া দেওয়া যাবে বলে মনে করছে শেভ্রোলে।

রিয়ালে যাওয়ার আগে ইউনাইটেডে অর্ধযুগ কাটিয়েছিলেন রোনালদো। ২৯২ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল করেছিলেন সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে। তিনবার প্রিমিয়ার লিগ জেতার পাশাপাশি তিনটি ঘরোয়া কাপ ও একটা চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন। পাঁচ ব্যালন ডি’অরের প্রথমটা এই ইউনাইটেডে থাকতে থাকতেই ধরা দিয়েছিল রোনালদোর হাতে। দেখা যাক, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে রোনালদো আবারও ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফেরেন কি না!

সুত্রঃ প্রথম আলো।