রেজাল্ট ভালো হলে জানালার পাশে সিট

হলে জানালার পাশে সিট পেতে হলে বেশি নম্বরধারী অথবা জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী হতে হবে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিটি গত সোমবার ওই হলের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়। হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন অবশ্য বলেছেন, এই বিজ্ঞপ্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক বলা যাবে না। হলে শৃঙ্খলা আনার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আট হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসিক সিট ছিল মাত্র সাড়ে চার শ শিক্ষার্থীর। গত ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজার সিটের দুটি নবনির্মিত হলের উদ্বোধন করা হয়। গত সোমবার ছিল বরাদ্দ করা শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার দিন। হলে উঠতে গিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীদের মধ্যে কে জানালার পাশে সিট নেবেন আর কারা পাবেন দরজার পাশে সিট—এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রভোস্ট হলের প্যাড ব্যবহার না করে নিজের স্বাক্ষর না দিয়ে হলের দেয়ালে রাতে একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেন। ওই নোটিশের ছবি আবার শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে শুরু হয় বিতর্ক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সকল আবাসিক সিট পাওয়া ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে জানালার দুই পাশে সিটে উঠতে পারবে এবং জুনিয়ররা দরজার দুই পাশে সিটে উঠতে পারবে। উল্লেখ্য, সিনিয়র এবং জুনিয়র দুইজন যদি একই শিক্ষাবর্ষের হয় তবে রেজাল্ট যার বেশি ভালো থাকবে সে ডান পাশের সিটে উঠতে পারবে। ’

এ বিষয়ে প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘এই চিঠিটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক চিঠি নয়। হলে কোন সিটে কোন শিক্ষার্থী উঠবে, কে জানালার পাশে তো কে দরজার পাশে, এই নিয়ে একের পর এক শিক্ষার্থী অভিযোগ নিয়ে আসতেই থাকে। তাই এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত একটি চিঠি শুধু হলের শিক্ষার্থীদের বোঝার জন্য টাঙানো হয়। যারা সমন্বয় করতে পারবে, তারা উঠে যাবে আর যারা নিজেদের সমন্বয় করতে না পারবে, তারা এ নির্দেশনা অনুসরণ করে সিটে উঠবে। ’ তিনি জানান, এই নির্দেশনার পর গতকাল সারা দিনে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী তাঁদের সিট গ্রহণ করেছেন কোনো ধরনের অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলা ছাড়াই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘ছাত্রী হলের প্রভোস্ট লিখিতভাবে টাঙিয়ে দিলেও আমরা তা করিনি। তবে যে সিটগুলো নিয়ে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা আমরা এই পথ অবলম্বন করেই সমাধান করেছি। ’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ