রুয়েটের এক কর্মকর্তার জাল সনদে চাকরি

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম আলিফ নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপসহকারী প্রোগ্রামার পদে জাল সনদে পদোন্নতি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে একজন সহকারী প্রকৌশলীর ওপর হামলা ও রুয়েট শিক্ষকদের কোয়ার্টারে ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলিফকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে মতিহার থানায়।

আলিফের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি সশস্ত্র গ্রুপ পরিচালনা করেন। রুয়েটে আধিপত্য বিস্তার করতেই সশস্ত্র গ্রুপটিকে কাজে লাগাচ্ছেন। রুয়েটের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদোন্নতি পেতে কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের ওপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে আসছেন আলিফ। কিন্তু তার শিক্ষা সনদগুলো জাল হওয়ায় এবং তাতে গুরুতর অসংগতি ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে পদোন্নতি দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলিফ নিজের সশস্ত্র গ্রুপ নিয়ে রুয়েটকে অস্থিতিশীল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। আলিফের কর্মকাণ্ড ও জাল সনদ প্রসঙ্গে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেন বলেন, সনদপত্র জাল ও সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগে আলিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব বিষয় তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে রুয়েট প্রশাসন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আলিফের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযোগে জানা গেছে, সর্বশেষ ১০ জুন রুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে আলিফের নেতৃত্বে সশস্ত্র গ্রুপটি। গুলিবর্ষণ করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করা হয়। এর আগের দিন রুয়েট প্রশাসন সহিংসতা ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বদানের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। প্রতিশোধ নিতে আলিফ শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে তাণ্ডব চালান।

তারও আগে ৬ জুন আলিফ তার বাহিনী নিয়ে রুয়েটের সহকারী প্রকৌশলী তাপস সরকারের ওপর হামলা চালান। আর এ অভিযোগেই তাকে বরখাস্ত করা হয়। সন্ত্রাসে জড়িত থাকায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. সেলিম হোসেন বাদী হয়ে আলিফ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেন। তবে পুলিশ এখনো কাউকেও গ্রেফতার করেনি। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন