বুধবার , ৯ মার্চ ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রুশ সেনার মা : সন্তান ফিরে পেতে কোথায় যাব?

Paris
মার্চ ৯, ২০২২ ৯:১৯ অপরাহ্ণ

এক সপ্তাহের ওপরে হয়ে গেছে নাতি নিকিতার কোনো খোঁজ পান না দাদি মারিনা (ছদ্মনাম)। শেষবার নিকিতা ফোনে জানিয়েছিলেন, তাকে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। তার পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ।

নিকিতা হলেন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ (কনস্ক্রিপ্ট) পাওয়া যোদ্ধা।

রাশিয়ায় ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সীদের (যাদের পড়ালেখা বা একদম ছোট শিশুদের দেখাশোনা করার মতো কোনো কাজ না থাকে) সামরিক বাহিনীতে এক বছরের জন্য কাজ করতে হয়।

মারিনা জানান, নিকিতা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার কয়েক দিন পরই তার সামরিক ইউনিটের প্রতিনিধিরা এলাকায় এসেছিলেন। তারা চাইছিলেন, নতুন যোগ দেওয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে চুক্তিভিত্তিক সৈনিক করতে।

‘তারা ওকে রাজি করিয়ে ফেলেছিলেন… বলেছিলেন, তুমি আগেভাগে অবসরে যেতে পারবে, নির্ভরযোগ্য বেতন থাকবে তোমার, গাড়ি চালাতে শিখবে’, বলেন মারিনা।

পরে সেনাবাহিনীতে গাড়ি চালানোর কাজ পান নিকিতা। মাসে মাত্র ১৮ হাজার রুবল দেওয়া হতো। রুবলের দরপতনের আগে তা দিয়ে রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো রকমে টিকে থাকা সম্ভব হতো শুধু, জানান মারিনা।

তিনি একদম নিশ্চিত যে নাতির কোনো ধারণাই ছিল না যে তাকে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে। ‘ও বলেছিল, অনুশীলন করতে হবে। এরপর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ’ ঠিক একই ধরনের কথা বলেছেন অন্য অনেক রুশ সেনার আত্মীয়রাও।

যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন বলছে, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই বাধ্যতামূলক নিয়োগের যোদ্ধা। এদের অনেকেরই বিশ্বাস ছিল, তাদের শুধু অনুশীলন করানো হবে। এর বদলে তাদের পাঠানো হয়েছে যুদ্ধে। নিকিতার মতো ঘটনা ঘটেছে অন্যদের সঙ্গেও।

গালিনা নামের একজন জানান, তার ছেলে নিকোলাই সেনাবাহিনীতে কাজ শুরু করেছিলেন কনস্ক্রিপ্ট হিসেবে। পরে হয়ে যান চুক্তিভিত্তিক সৈনিক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিকোলাই ছিলেন ইউক্রেনীয় সীমান্তে।

‘আমি জানি না কী করব। গণমাধ্যম হয় আমাদের সেনাদের ধরা পড়ার ব্যাপারে একদম চুপ রয়েছে, না হয় তারা জানেই না,’ বলেন গালিনা। ‘আমার সন্তান ওই দেশে স্বেচ্ছায় যায়নি, কমান্ডার ইন চিফ পাঠিয়েছে তাকে,’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানকে ফিরে পেতে কার দরজায় গিয়ে দাঁড়াব?’

ঠিক একই ধরনের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন অন্যান্য রুশ চুক্তিভিত্তিক সেনার মায়েরাও। এই সেনাদেরও ‘অনুশীলনের’ জন্য পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বর্তমানে ‘লুক ফর ইওর ওন’ বা ‘স্বজনকে খুঁজুন’ নামের এক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে রাশিয়ার যুদ্ধবন্দি ও আহতদের ছবি প্রকাশ করে উদ্বিগ্ন আত্মীয়দের যোগাযোগের আহ্বান করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা অলেস্কি আরেস্তোভিচ এক ঘোষণায় বলেছেন, ‘এটি রাশিয়ার মায়েদের প্রতি আমাদের সদিচ্ছার নমুনা। ’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক