রিয়ালকে হারিয়ে নবাগত শেরিফের চমক

প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে মলদোভার ক্লাব শেরিফ তিরাসপোল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্ককে হারিয়েছিলো তারা। এবার হারিয়ে দিলো চ্যাম্পিয়নস লিগের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকেও।

মঙ্গলবার রাতে রিয়ালের মাঠে খেলতে এসে ২-১ গোলের অসাধারণ এক জয় নিয়েই ফিরেছে মলদোভার ক্লাবটি। জয়সূচক দ্বিতীয় গোলটি ছিলো সপ্তাহসেরার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য দাবিদার। এখন দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে ডি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে শেরিফ।

নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে শুধুমাত্র জয়টিই পায়নি রিয়াল। এছাড়া পুরো ম্যাচে ৭৬ শতাংশ সময় বলের দখল ছিলো লস ব্লাংকোসদের কাছে। পুরো ম্যাচে অন্তত ৩১টি শট করে তারা। যার মধ্যে ১১টি ছিলো লক্ষ্যে। কিন্তু পেনাল্টি ছাড়া আর কোনো গোলই পায়নি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

ম্যাচের ২৫ মিনিটের সময় পাল্টা আক্রমণ থেকে লিড নেয় শেরিফ। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বল ধরে সামনে এগিয়ে যান ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ানো। জায়গা করে ফাঁকায় চমৎকার ক্রস বাড়ান ক্রিস্তিয়ানো। দেখেশুনে সহজ হেডে বল জালে জড়ান ইয়াসুরবেক ইয়াখশিবোয়েভ।

real2

আক্রমণের মোহে ব্যস্ত থাকা রিয়াল খেলোয়াড়রা যেনো ভুলেই গিয়েছিলেন পাল্টা আক্রমণের কথা। তাই তো গোলটি করার সময় ক্রিশ্চিয়ানো এবং ইয়াসুরবেক ছিলেন পুরোপুরি অরক্ষিত। ম্যাচের প্রথমার্ধে আর এই গোল শোধ করতে পারেনি রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৬৫ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। ডি-বক্সের মধ্যে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফাউল করেছিলেন তারই স্বদেশি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফার্নান্দো। ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৭২তম গোলটি করেন বেনজেমা।

ম্যাচে সমতা ফিরলেও জয়সূচক গোল আর পায়নি রিয়াল। একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হতে থাকে তাদের। কিন্তু কাজের কাজটি করে শেরিফই। ম্যাচের ৮৯ মিনিটের মাথায় থ্রো-ইন থেকে পাওয়া বল সেবাস্তিয়েন থিলকে এগিয়ে দেন অ্যাডাম ট্রাওরে। বুলেট গতির শটে বাকি কাজ সারেন থিল।

এই জয়ের পর দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শেরিফ। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল। গ্রুপের অন্য দুই দল ইন্টার মিলান ও শাখতারের রয়েছে ১টি করে পয়েন্ট।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ