রবিবার , ২৮ আগস্ট ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রিশার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম

Paris
আগস্ট ২৮, ২০১৬ ৫:৫১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে তার সহপাঠীরা।

 

রোববার রিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

 

এ সময় ওই রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ওবায়দুলকে আগামীকাল বেলা ১২টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজপথ ছাড়ে।

 

শিক্ষার্থীদের পক্ষে আলটিমেটাম ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুনতাসির রহমান রিফাত।

 

সে বলে, কাকরাইলের মতো এতটি জনবহুল এলাকায় একজন ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করা হলো। অথচ পুলিশ এখনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারল না। আমরা পুলিশকে রোববার বেলা ১২টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিচ্ছি। তারা যেন রিশার হত্যাকারী বৈশাখী টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনে।

 

শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ইউসুফ আলী বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে। অপরাধী কোনোভাবেই পার পাবে না।

 

গত ২৪ আগস্ট বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। সহপাঠিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন রিশার মা বাদী হয়ে বৈশাখী টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

তিন দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) থাকার পর রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যায় রিশা।

 

এর আগে রিশার মা তানিয়া হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, ওবায়দুল একটি টেইলার্সের কর্মচারী। সে রিশাকে উত্ত্যক্ত করত। এ ঘটনার সঙ্গে সেই জড়িত।

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছয় মাস আগে মায়ের (তানিয়া হোসেন) সঙ্গে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সে বৈশাখী টেইলার্সে যায় রিশা। সেখানে একটি ড্রেস সেলাই করতে দেয়। দোকানের রিসিটে বাসার ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়। রিসিট থেকে মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে ওবায়দুল ফোনে রিশাকে বিরক্ত করত। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় রিশাকে উত্ত্যক্ত করত ওবায়দুল।

সূত্র:রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি