রাসিক মেয়র ও ডিসির ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ টাকা অনুদান দিলো এমসিসি

আব্দুল্লাহ আল মারুফ:

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রায় সারাদেশেই চলছে অঘোষিত লকডাউন। এ অবস্থায় কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়া হতদরিদ্র এবং অসহায় মানুষের কল্যাণে এগিয়ে এসেছে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল (এমসিসি)।

গত কয়েকদিন ধরেইএমসিসি এর সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক অসচ্ছল খেলোয়াড় ও মাঠকর্মীদের প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি করে আটা, ছোলা, ডাল, চিনি, তেল, পেয়াজ, এবং চার কেজি আলু, এক কেজি লবন, ৫০০ গ্রাম লাচ্চা সেমাই ও ১টি করে সাবান প্রদান করেন।

কোভিড-১৯ এর থাবায় বিশ্বজুড়ে যে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেখানে কেবলমাত্র অস্বচ্ছল খেলোয়াড় বা মাঠকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল, এগিয়ে এসেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে। ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছে দুই লক্ষ টাকা।

রবিবার (১০ই মে) সন্ধ্যায় নগর ভবনে মেয়রের হাতে অনুদানের ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন এমসিসি এর আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট।

অনুদান প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন এমসিসি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ মামুন ডলার, সদস্য ইমতিয়াজ রহমান, কবির তুহিন, রায়হান আলম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মহীন এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় এমসিসি‘কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মেয়র।

এর আগে বিকেলে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল এর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হকের হাতে ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন খালেদ মাসুদ পাইলট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমসিসি’র আহ্বায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট জানান, মুলত রাজশাহীর সকল সাবেক ক্রিকেটার দের একছাতার নিচে আনতে ও রাজশাহীর ক্রিকেটের উন্নয়নের লক্ষ্যে এমসিসির যাত্রা শুরু হলেও দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারিনি, অসহায় মানুষগুলোর মুখ যখনই চোখের সামনে ভেসে উঠেছে তখন নিজের অজান্তেই কেঁদে উঠেছে হৃদয়।

যখন দেখেছি, দিন রাত এক করে ছুটে চলেছেন, মেয়র অথবা ডিসি মহদোয়, তখন আর নিজেকে একটুও ধরে রাখতে পারিনি চার দেওয়ালের মাঝে। হৃদয়ের অজানা অনুভুতির ডাকে সাড়া দিয়ে, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা নিজেদের অর্থায়নে শুরু করি ফান্ড গঠনের কাজ। আর সেই ফান্ড থেকেই অসচ্ছল খেলোয়ার ও মাঠকর্মীদের পাশাপাশি হাত বাড়িয়ে দেই কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের দিকেও।

মেয়র এবং ডিসির ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদান প্রসঙ্গে তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় যেভাবে মেয়র এবং ডিসি মহোদয় দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের অনুদান মূলত করোনাকালীন এই যুদ্ধের সময়, তাঁদের হাতটাকে আরেকটু শক্তিশালী করার প্রয়াস মাত্র!

এমসিসির এধরনের সামাজিক কার্যক্রম আর কত দিন চলবে, এই প্রশ্নের জবাবে পাইলট জানান যতদিন দেশে করোনা তার ছোবল অব্যাহত রাখবে, ততদিনই আমরা কর্মহীন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়ে তাঁদের হাসি ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাবো।

কেবল করোনা নয়, যখনই বাংলাতে কোন দুর্যোগ নেমে আসবে, তখনই নিজেদের সবটুকু দিয়েই, এই দেশ মাটি এবং মানুষের জন্য কাজ করে যাবে, মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল (এমসিসি)।

স/আর