রাসিক মেয়রের এপিএসের সঙ্গে কর্মচারীদের ধাক্বাধাক্কি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা বেতন-ভাতার দাবি নিয়ে এবার মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।  রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে মেয়রের এপিএস ওয়ালিদ মাহামুদ রানার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে কর্মচারীরা তাদের গত মে মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এসময় তারা বলেন, দুদিন পরেই ঈদ। অথচ আমাদের বেতন-ভাতা হয়নি এখনো। আমরা পরিবারের সদস্যদের মুখের দিকে তাকাতে পারছি না। ঈদের কোনো কেনাকাটাও করতে পারিনি বেতন-ভাতা না পেয়ে। তবে গতকালকের মধ্যে বেতনভাতা না হলে আজ মঙ্গলবার সকালে রাসিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’
এসময় তারা আরো বলেন, রাসিকের যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তা মানুষ দেখানো। রাসিকের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটের রাজনীতি শুরু করেছেন কর্মচারীদের নিয়ে। আমাদের কর্মচারীদের সকল পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হবে। পাওনা পরিশোধ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। এরই অংশ হিসেবে আজ তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা দুপুর ১২টার দিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মমিনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় মেয়রের এপিএস ওয়ালিদ মাহামুদ রানা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কর্মচারীরা। একপর্যায়ে ওয়ালিদ মাহামুদ রানার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।  

সিটি ও পৌর ফেডারেশনের মহসচিব দুলাল শেখ বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কাজের দোহায় দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়। এর ফলে শুধু কর্মচারী নয়। বকেয়া পড়ে আছে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের টাকাও। এভাবে কোনো সিটি করপোরেশন চলতে পারে না।’

স/আর